কুমিল্লায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগ ছয় আইনজীবীর জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত। তাদের মধ্যে চার জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি দুই জন পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করা হয়েছে। ওই চার আইনজীবীকে কারাগারে পাঠানোর সময় তাদের ওপর ডিম ছুড়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। এদিকে একই মামলায় জামিন পেয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের এক নেতা।
সোমবার (২১ এপ্রিল) কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ মাহবুবুর রহমান শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
জামিন পাওয়া ব্যক্তির নাম নুর উর রহমান মাহমুদ তানিম। তিনি একই মামলার ৬৮ নম্বর আসামি। তিনিও হাইকোর্ট থেকে আট সপ্তাহের আগাম জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন।
যাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়েছে তারা হলেন- কুমিল্লা বারের সাবেক সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান লিটন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম ভুঁইয়া, জিয়াউল আহসান সোহাগ, সাইফুল ইসলাম, জাকির হোসেন ও এএমএম মইন।
তাদের মধ্যে অনুপস্থিত ছিলেন জিয়াউল আহসান সোহাগ ও এএমএম মঈন।
গত বছরের তিন আগস্ট কুমিল্লা পুলিশ লাইন উচ্চ বিদ্যালয় গেটের সামনে হামলার ঘটনায় সাবেক এমপি আ.ক.ম বাহা উদ্দিন বাহারসহ ২৬১ জনের নামে ও অজ্ঞাত ১৫০/২০০ জনকে আসামি করে ১১ আগস্ট কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন সদরের ডুমুরিয়া চানপুরের ইনজামামুল হক রানা।
এ মামলায় ২৬ জন আইনজীবী আট সপ্তাহের আগাম জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
কুমিল্লা আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) কাইমুল হক রিংকু বলেন, এ মামলায় ২৪ জন আসামি শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে ছয় আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পলাতক দুই আসামির বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বলেন, তিন আগস্ট কুমিল্লায় যে নারকীয় তাণ্ডব চালানো হয়েছে, আদালতের মাধ্যমে তাদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। ওই তাণ্ডবের সঙ্গে অনেক আইনজীবী জড়িত।