বৃহস্পতিবার , ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. London Mirror Specials
  2. অন্যান্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জেলার খবর
  9. ঢাকা
  10. তথ্য-প্রযুক্তি
  11. প্রবাসের কথা
  12. বরিশাল
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

ঢাবিতে পিটিয়ে হত্যা: ছয় অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

প্রতিবেদক
Newsdesk
সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪ ১০:৫৩ অপরাহ্ণ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে শিক্ষার্থীদের গণপিটুনিতে তোফাজ্জল (৩২) নামে এক যুবক নিহতের ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার তদন্ত কর্মকর্তা ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টোরিয়াল বডি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয় শিক্ষার্থীকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করেছে। ওই শিক্ষার্থীদের এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. জালাল মিয়া, সুমন মিয়া, মো. মোত্তাকিন সাকিন, আল হুসাইন সাজ্জাদ, আহসানউল্লাহ ও ওয়াজিবুল।

এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে তোফাজ্জলকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শাহবাগ থানায় অভিযোগটি করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের সুপারভাইজার মোহাম্মদ আমানুল্লাহ।

মামলার এজাহারে মোহাম্মদ আমানুল্লাহ উল্লেখ করেন, ১৮ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ৮টার সময় একজন যুবক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের গেটে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করছিলেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্র তাকে আটক করে প্রথমে ফজলুল হক মুসলিম হলের মূল ভবনের গেস্ট রুমে নিয়ে যান। মোবাইল চুরির অভিযোগ করে তারা ওই যুবককে এলোপাতাড়ি চর-থাপ্পড় ও কিলঘুষি মারেন। জিজ্ঞাসা করায় ওই যুবক তার নাম তোফাজ্জল বলে জানান। পরে তিনি মানসিক রোগী বুঝতে পেরে তাকে হলের ক্যান্টিনে নিয়ে খাবার খাওয়ান। এরপর তাকে হলের দক্ষিণ ভবনের গেস্ট রুমে নিয়ে জানালার সঙ্গে হাত বেঁধে স্ট্যাম্প, হকিস্টিক ও লাঠি দিয়ে উচ্ছৃঙ্খল কিছু ছাত্র বেধরক মারধর করলে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন।

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, পরে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন আবাসিক শিক্ষককে জানানো হয়। তাদের সহায়তায় অচেতন ওই যুবককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দিবাগত রাত পৌনে ১টার সময় তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এজাহার দায়ের করায় সামান্য বিলম্ব হয়েছে।

এদিকে এ ঘটনায় সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এই তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে আবাসিক শিক্ষক অধ্যাপক ড. আলমগীর কবীরকে। তদন্ত কমিটিকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে বলে জানা যায়।

কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শফিউল আলম খান, অধ্যাপক ড. শেখ জহির রায়হান, মো. মাহাবুব আলম, ড. আছিব আহমেদ, ড. এম এম তৌহিদল ইসলাম, সহকারী প্রক্টর এ কে এম নূর আলম সিদ্দিকী।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক