ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও রাজনৈতিক বিভক্তি ও অর্থনৈতিক অস্থিরতা কাটিয়ে উঠতে হিমশিম খাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। এরই মধ্যে যুক্তরাজ্যে পাচার হওয়া দুর্নীতির অর্থ নিয়ে নতুন করে চাপে পড়েছেন সাবেক সরকারের শীর্ষ নেতারা।
ব্রিটিশ ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (NCA) গত কয়েক মাসে সাবেক মন্ত্রী সালমান এফ রহমান ও সাইফুজ্জামান চৌধুরীর পরিবারের প্রায় ২৬ কোটি পাউন্ড মূল্যের সম্পদ জব্দ করেছে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল ও দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যে অন্তত ২০টি সম্পত্তির হস্তান্তর ও বিক্রির চেষ্টা করা হয়েছে যেগুলোর মালিকরা ঢাকায় দুর্নীতির মামলায় তদন্তাধীন।
অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে যুক্তরাজ্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে, যেন সন্দেহভাজনদের আরও সম্পদ দ্রুত ফ্রিজ করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক ও দুদক ইতিমধ্যে একাধিক অনুরোধ পাঠিয়েছে।
বিশেষভাবে আলোচনায় এসেছে সোবহান পরিবার, যারা নাইটসব্রিজের বিলাসবহুল বাড়ি মালিকানা বদলের মাধ্যমে গোপনে সম্পদ সরিয়ে ফেলেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বসুন্ধরার এমডি সায়েম সোবহান ও শাফিয়াত সোবহানের নাম যুক্ত রয়েছে এসব লেনদেনে।
সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ভাই আনিসুজ্জামান চৌধুরী এবং এক প্রবাসী ডেভেলপারের বিরুদ্ধেও তদন্ত চলছে, যাদের বিরুদ্ধে ব্যাংক ঋণ কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে।
ব্রিটিশ এমপি জো পাওয়েল সতর্ক করে বলেছেন, তদন্ত চলাকালে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে এসব সম্পদ ‘উধাও’ হয়ে যেতে পারে। তিনি আরও বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর লন্ডনের গোপন সম্পদ বিশ্বজুড়ে আলোচনার বিষয়, এবং বাংলাদেশের পরিস্থিতিও এ প্রসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।












The Custom Facebook Feed plugin