সংশোধিত সন্ত্রাস বিরোধী অধ্যাদেশ-২০২৫ ও সন্ত্রাস বিরোধী আইন-২০০৯ অনুযায়ী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত সংগঠনটির সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
সোমবার (১২ মে) এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এই তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগের সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন এরই মধ্যে হয়ে গেছে। অধ্যাদেশ অনুসারে বিষয়টি বাস্তবায়ন করার দায়িত্ব আমাদের।
প্রজ্ঞাপনে থাকা বিধিনিষেধ অনুযায়ী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যবস্থা নেবে বলে জানান তিনি।
প্রজ্ঞাপনে বলা হচ্ছে- এখন থেকে আওয়ামী লীগের কোনো কিছু গণমাধ্যম, অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ প্রচার করা যাবেনা। দলটি মিছিল, সভা-সমাবেশ, সম্মেলনসহ কোনো কর্মকাণ্ড চালাতে পারবে না।
প্রজ্ঞাপনটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন
এছাড়া বৈঠকে কোরবানি ঈদের আগে তৈরি পোশাক কর্মীদের বোনাস, বেতন দিতে হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, পশুর হাটে চাঁদাবাজি, ছিনতাই ঠেকাতে প্রতি হাটে ১০০ জন করে আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় পুলিশ ও র্যাব নিয়েও।
এসময় সাত ও আট মে ২০২ জনকে সীমান্ত দিয়ে বিএসএফ পুশইন করেছে যাদের মধ্যে ৩৯ জন রোহিঙ্গা আছে বলে জানান বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী। এছাড়া পাঁচ জন রোহিঙ্গা ভারতের ইউএনএইচসিআর এ নিবন্ধন করা।