একাত্তরে পাকিস্তানের সশস্ত্রবাহিনী কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে দেশটিকে ক্ষমা চাইতে বলেছে বাংলাদেশ। একইসঙ্গে বাংলাদেশের সম্পদ ফেরত পাওয়া ও আটকে পড়া পাকিস্তানিদের ফেরত নিতে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে পাকিস্তানের কাছে। বাংলাদেশে সফররত পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচের সঙ্গে বৈঠক শেষে এই তথ্য জানিয়েছেন পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান তিনি।
মো. জসীম উদ্দিন বলেন, বৈঠকে আমি পাকিস্তানের সঙ্গে বিদ্যমান ঐতিহাসিকভাবে অমীমাংসিত বিষয়গুলো উত্থাপন করেছি। যেমন—আটকে পড়া পাকিস্তানিদের প্রত্যাবাসন, অবিভাজিত সম্পদে বাংলাদেশের ন্যায্য হিস্যা দেয়া, ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য পাঠানো বিদেশি সাহায্যের অর্থ হস্তান্তর এবং ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের তৎকালীন সশস্ত্রবাহিনী কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাওয়া।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী চলতি মাসের ২৭ ও ২৮ এপ্রিল ঢাকা সফর করবেন বলেও জানান তিনি।
পররাষ্ট্রসচিব আরও জানান, জাতীয় স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে স্থবির সম্পর্ক এগিয়ে নিতে চায় বাংলাদেশ। দুই দেশের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ থাকলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন ও জোরদার করা সম্ভব।
এদিকে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনাকে ‘ফলপ্রসূ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন ঢাকায় সফররত পাকিস্তানি পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের সাথে দীর্ঘ ১৫ বছর পর হওয়া সচিব পর্যায়ের বৈঠকে আলোচনা ভালো হয়েছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব জানিয়েছেন, অমীমাংসিত ইস্যু নিয়ে অভ্যন্তরীণ আলোচনা অব্যাহত রাখা হবে।
গত সেপ্টেম্বরে নিউ ইয়র্কে এবং ডিসেম্বরে মিশরে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক হয় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের। এর ধারাবাহিকতায় দুদেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো।