কোক স্টুডিও বাংলার ‘মালো মা’ গানটি নিয়ে প্রশংসার সঙ্গে বিতর্কও উঠেছে। নেত্রকোনার বাউলসাধক রশিদ উদ্দিনের ‘মাগো মা’ গানের সঙ্গে ঢাকার সাধক, কবি ও শিল্পী খালেক দেওয়ানের ‘মালো মা’ গানের মিল খুঁজছেন শ্রোতারা।
সুরকার ও সংগীতশিল্পী প্রীতম হাসানের সংগীত পরিচালনায় ‘মালো মা’ প্রকাশ করেছে কোক স্টুডিও বাংলা। চলতি মাসে ইউটিউবে প্রকাশিত গানটি বাংলাদেশের ট্রেন্ডিংয়ের তালিকার শীর্ষে রয়েছে। কোক স্টুডিওর ‘মালো মা’ গেয়েছেন খালেক দেওয়ানের নাতি আরিফ দেওয়ান ও সাগর দেওয়ান। এ গানের গীতিকার হিসেবে খালেক দেওয়ানের নাম নিয়েছে কোক স্টুডিও বাংলা।
‘মালো মা’ প্রকাশ্যে আসার পর ৬ মে নেত্রকোনায় এক প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে। নেত্রকোনার সাধক রশিদ উদ্দিনের ছেলে দাবি করছেন গানটির মূল স্রষ্টা তার বাবা।
অন্যদিকে খালেক দেওয়ানের নাতি আরিফ দেওয়ানের দাবি, এই গানের মূল স্রষ্টা তাদের দাদা খালেক দেওয়ান।
দেশের দুই অঞ্চলের দুই প্রথিতযশা বাউলসাধক রশিদ উদ্দিন ও খালেক দেওয়ানের কেউই বেঁচে নেই। দুজনই হাজারেরও বেশি গান রচনা করেছেন। বয়সে রশিদ উদ্দিনের ২০ বছরের ছোট খালেক দেওয়ান। জীবদ্দশায় দুজনের কখনো সাক্ষাৎ হয়েছিল কি না, তা জানা যায়নি। তবে ‘মাগো মা’ ও ‘মালো মা’ গানের কথার অনেকাংশেই মিল পাওয়া যায়।
এদিকে প্রয়াত গায়ক বারী সিদ্দিকী একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে জানিয়েছিলেন এই গানটি বাউল রশিদ উদ্দিনের গান। অনেক পুরোনো সেই ভিডিও এখন ভাইরাল।
তারপরও খালেক দেওয়ানের নাতি শাকির দেওয়ানের দাবি, ১৯৫০ সালের দিকে ‘মালো মা’ রচনা করেছেন তাঁর দাদা।
১৯৫৪ সালে প্রকাশিত খালেকের নিজের লেখা ‘দেওয়ান গীতিকা’ বইয়ে ‘মালো মা’ গানটি রয়েছে। বইটি ‘দেওয়ান আবদুল খালেক মিয়া’ লিখেছিলেন। ১৯৭৫ সালের মে মাসে বইটির তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়। বইটি পরিবারের কাছে এখনো রয়েছে।