স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মামুনের (শিক্ষা) অসদাচরণে প্রতিবাদে সায়েন্সল্যাবের সড়ক ছেড়ে দিয়েছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। এখন তারা প্রো-ভিসির বাসভবন অভিমুখে যাত্রা শুরু করেছেন। এর আগে ঢাবির ভিসিকে শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা ১ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেন আন্দোলনকারীরা।
প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টার বেশি সময় সড়ক অবরোধ করে রাখার পর রোববার (২৬ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে মোড়ে এক আনুষ্ঠানিক বক্তব্যে ঢাবির প্রো-ভিসির বাসভবন ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
ঢাকা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল রহমান, স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠান এবং ঢাবি প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মামুনের (শিক্ষা) অসদাচরণে জন্য শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাওয়াসহ ছয় দফা দাবিতে তার বাসভবন ঘেরাও করা হবে। সেখানে তিনি শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে এবং আমাদের সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবি মেনে নিতে হবে।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো:
- ২০২৪-২৫ সেশন থেকেই সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় অযৌক্তিক কোটা পদ্ধতি বাতিল করতে হবে।
- শ্রেণীকক্ষের ধারণক্ষমতার বাইরে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো যাবে না।
- শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে হবে।
- নেগেটিভ মার্ক যুক্ত করতে হবে।
- সাত কলেজের ভর্তি ফি’র স্বচ্ছতা নিশ্চিতে মন্ত্রণালয় গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করে ঢাবি ব্যতীত নতুন অ্যাকাউন্টে ভর্তি ফি’র টাকা জমা রাখতে হবে।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে শিক্ষার্থী আব্দুর রহমানের ঘোষণা দেওয়া পর আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা সড়ক ছেড়ে দেন। পরে তারা ঢাকা কলেজের বিভিন্ন হলপাড়া ঘুরে আরও শিক্ষার্থীদের একত্রিত করে ঢাবি প্রো-ভিসি অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন।
শেখ খবর পাওয়া পর্যন্ত তারা ঢাকা কলেজে অবস্থান নিয়েছেন।
এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা থেকে সড়কে অবস্থান নেন তারা। ফলে গুরুত্বপূর্ণ এসব সড়কের যানচলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।