১০ বছর আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) হামলায় এক পা হারান সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল মাসুদ। শনিবার রাতে নগরীর বিনোদপুর বাজারে হামলায় গুরুতর আহত তিনি। ওই অবস্থায় তাকে থানায় সোপর্দ করা হয়। পরে রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে মাসুদ রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে মারা যান।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মেডিক্যাল সেন্টারে স্টোর অফিসার পদে কর্মরত মাসুদের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায়। তিন সেপ্টেম্বর কন্যা সন্তানের জনক হন মাসুদ, তিনি পরিবার নিয়ে থাকতেন বিনোদপুরে।
মাসুদ রাবি ছাত্রলীগের সাবেক সহসম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মাসুদ রাত ১০টার দিকে বিনোদপুর বাজারে ওষুধ কিনতে আসেন। এসময় তিনি পিটুনির শিকার হন। পরে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে শিক্ষার্থীদের একটি দল মতিহার থানায় নিয়ে যায়। তারপর তাকে সেখান থেকে নেওয়া হয় বোয়ালিয়া থানায়। এরপর শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল মাসুদের চিকিৎসার জন্য রামেক হাসপাতালে পাঠায়।
বোয়ালিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদ পারভেজ জানান, নিহতের মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারে হস্তান্তর করা হবে।
২০১৪ সালের ২৯ এপ্রিল সকালে ক্লাসে যাওয়ার পথে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া হলের সামনে হামলার শিকার হন আব্দুল্লাহ আল মাসুদ। এতে তার ডান পায়ের নিচের অংশ গোড়ালি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বাম পা। কেটে দেওয়া হয়েছিল হাতের রগ। সেই থেকে একটি কৃত্রিম পা লাগিয়ে চলাফেরা করতেন তিনি। ওই ঘটনায় নগরীর মতিহার থানায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের সভাপতি আশরাফুল আলম ইমনসহ ৪৭ জনকে আসামি করা হয়েছিল।
একটি সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন বেকার থাকার পর নিজের দুর্দশার কথা জানিয়ে চাকরি চেয়ে ২০২২ সালের শেষের দিকে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চিঠি লেখেন মাসুদ। এরপর ওই বছরের ছয় ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সুপারিশে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার পদে চাকরি হয় তার। নিয়োগপত্র পেয়ে ২২ ডিসেম্বর চাকরিতে যোগ দেন তিনি। সেই থেকে এই পদেই চাকরি করতেন মাসুদ।