অপরাধী যতো প্রভাবশালী হোক না কেন, সরকার তাকে অপরাধী হিসেবেই দেখে। কোনো অপরাধীকে সরকার প্রকেটশন দেয় না। বিচারবিভাগ স্বাধীন, তাই অপরাধকারীকে প্রচলিত আইনে শাস্তি পেতেই হবে।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফরহাদ ও পুরান ঢাকার দর্জি বিশ্বজিৎ হত্যার প্রসঙ্গ টেনে কাদের বলেন, আবরার হত্যাকাণ্ডে যাদের দণ্ড হয়েছে তাদের সবাই ছাত্রলীগের। আবার বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডে যাদের ফাঁসি হয়েছিল তাদের সরকার প্রটেকশন দিতে যায়নি। ব্যক্তি অপরাধ করতে পারে। কথা হচ্ছে সরকার প্রটেকশন দিচ্ছে কি না। শেখ হাসিনা সরকার এখানে জিরো টলারেন্স। অপরাধ করলে শাস্তি তাকে পেতেই হবে।
এদিকে সম্প্রতি বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। অপরদিকে সাবেক পুলিশপ্রধান (আইজিপি) বেনজির আহমেদ ও তার পরিবারের ১০৯ একর ৬২ দশমিক ৪৬ শতাংশ জমি ক্রোক ও অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছে আদালত।
এ প্রসঙ্গে কাদের বলেন, ব্যক্তি যতো প্রভাবশালী হোক না কেন বিচার বিভাগ, দুদক স্বাধীন। সেখানে কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে আমরা তাকে প্রটেক্ট করতে যাবো না। সেখানে কোনো সাবেক আইজিপি বা কোনো সাবেক সেনাপ্রধান যে-ই থাকুক না কেন সরকারের কাউকে প্রটেকশন দেওয়ার বিষয়ে নেই।
এসময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের স্বাস্থ্যের অবস্থা ভয়ঙ্কর ট্রমায় গিয়ে ঠেকেছে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। বলেন, তাদের ‘বন্ধুরা’ও আগের মতো উৎসাহিত করেন না। ‘বন্ধুরা’ তাদের ক্ষমতায় বাসাবে বিএনপির সেই স্বপ্নও কর্পূরের মতো উবে গেছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নিরীহ কোনো মানুষ হয়রানির শিকার হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, খুন, সন্ত্রাস, অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে যারা জড়িত তাদেেই আটক করা হয়েছে।
বিএনপির অবস্থায় ‘ক্ষমতা না পেয়ে পথহারা পথিকের মতো’ মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের বলেন, তাই তারা বেসামাল হয়ে কথা বলছে। সেজন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নোংরা ভাষায় প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারকে জড়িয়ে কথা বলা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতা অর্জন করেছে, দখল করেনি উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, সারা দুনিয়া জানে জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এসেছে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনের আগে অনেকেই সমালোচনা করেছে। কিন্তু নির্বাচনের পর তারা অভিনন্দন জানিয়েছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেনসহ বিশ্ব নেতারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কাজ করার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেছেন।
এসময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক আব্দুস সোবহান গোলাপ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, উপ প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য মারুফা আক্তার পপি ও নির্মল চ্যার্টাজী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।