ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার আলোচিত ব্যবসায়ী আদম তমিজী হককে শেষ পর্যন্ত কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ১০ ডিসেম্বর রাতে রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়ে। গ্রেপ্তারের পর তার আচরণ ও কথা অসংলগ্ন মনে হওয়ায় তাকে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তারের ২৫ দিনেও তাকে আদালতে হাজির বা তার শারীরিক অবস্থা সংক্রান্ত কোনো মেডিকেল প্রতিবেদনও দাখিল না করায় তাকে হাজিরের নির্দেশ দিয়েছিলেন অপর একটি আদালত।
সে অনুযায়ী বিকেল ৩টা ২০ মিনিটের দিকে রিহ্যাব সেন্টার থেকে আদালতে হাজির করা হয় আদম তমিজি হককে। এরপর ঢাকার সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। সাড়ে ৩টার দিকে তাকে এজলাসে তোলা হয়।
এ সময় তার আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়ে জামিন শুনানির জন্য ১০ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।
আদম তমিজী হক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিতর্কিত কথা লিখেছিলেন। এ অভিযোগে তার বিরুদ্ধে রাজধানীর দক্ষিণখান থানায় একটি মামলা হয়।
গত ১০ ডিসেম্বর রাতে রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তার আচরণ ও কথা অসংলগ্ন মনে হওয়ায় তাকে মাদক নিরাময়কেন্দ্রে পাঠানো হয়।
আদালতে জানানো হয় যে, আদম তমিজি হকের এলোমেলো কথাবার্তায় ডিবির মনে হয়েছে, তার চিকিৎসা প্রয়োজন। পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশে জাতীয় মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় আদম তমিজি হককে। মানসিক হাসপাতালে নয়জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে নিয়ে একটি বোর্ড গঠন করা হয়।