অনলাইনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেয়া ও ভোটকেন্দ্র দেখাসহ ভোটার, দল, প্রার্থী, প্রতীক, ছবির নানা সেবা দিতে চালু করা হচ্ছে ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট বা নির্বাচন ব্যবস্থাপনা অ্যাপ।
নির্বাচন সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত মানুষের হাতে সহজেই পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে ডিজিটাল এই সেবাটি আগামী নভেম্বরেই চালু হবে বলে বুধবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান।
তিনি বলেন, অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সুবিধার জন্য এই অ্যাপ তৈরি করছে নির্বাচন কমিশন। যেখানে প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নের তথ্যগুলো পিডিএফ ফাইলে মাধ্যমে দাখিল করতে পারবেন।
আনিছুর রহমান বলেন, এই অ্যাপের মাধ্যমে ভোটকেন্দ্রও অনলাইনে দেখার ব্যবস্থা করা হবে। এতে ভোটাররাও নিজের কেন্দ্রটি সম্পর্কে জানতে পারবেন।
ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট অ্যাপটি শুধু আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেই নয়, পরবর্তী নির্বাচনগুলোও যাতে ব্যবহার করা যায় সে চুক্তি করা হবে বলেও জানান ওই নির্বাচন কমিশনার।
আনিছুর বলেন, ৬ বছর মেয়াদি হবে এই অ্যাপটি। সংসদ ও স্থানীয় সরকারসহ সব নির্বাচনেই এটা ব্যবহার করা হবে।
যেসব সেবা মিলবে এই অ্যাপে
ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট অ্যাপে নিবন্ধন করে প্রবেশ করতে পারবেন ভোটার, দল, প্রার্থী, রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। সাধারণ মানুষ প্রবেশ করতে পারেন এই অ্যাপে।
অ্যাপটিতে প্রার্থীদের দলীয় পরিচয়, প্রতীক, হলফনামাসহ বিভিন্ন তথ্য থাকবে। তবে অ্যাপের সব ক্ষেত্রে সবারই প্রবেশাধিকার থাকবে কিনা তা নিশ্চিত নয়।
এর আগে ২৬ জুলাই আনিছুর রহমান সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘কিছু কিছু ক্ষেত্রে শুধু ইসি, রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার অ্যাকসেস থাকবে।
কেন্দ্রগুলোতে ঘণ্টায় ঘণ্টায় কত ভোট পড়ছে তা জানা যাবে নির্বাচন ব্যবস্থাপনা অ্যাপে। রাজনৈতিক দলগুলোর আসন এবং কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফলও জানা যাবে।
ওই সময় আনিছুর রহমান বলেছিলেন, কে কোন এলাকার ভোটার তা জানতে পারবেন; কোন কেন্দ্রে, কোন কক্ষে (ভোট দেবেন)- গুগল ম্যাপে ভোটাররা দেখতে পারবেন। এটার কারিগরি দিক দেখা হচ্ছে। একই সঙ্গে কতজন দেখতে পারবে, লাখ লাখ লোক হিট করবে একই সময়ে-এসব কারিগরি সক্ষমতা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।