বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জ্বালানি তেলের মূল্য কমানোর যৌক্তিক দাবি নিয়ে জনগণ যখন রাস্তায় নামছে তখন তা দমন করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ‘প্রাইভেট লাঠিয়াল’ বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের গণভিত্তি ধসে যাওয়ায় তারা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে জনগণের ওপর হামলা চালিয়ে প্রতিনিয়ত রক্ত ঝরাচ্ছে।
বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশের হামলার প্রতিবাদে সোমবার তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, নিজেদের লুটপাট, হরিলুট ও দুর্নীতিসহ সকল অপকর্ম ঢাকার জন্যই গণতন্ত্রকে সমাধিস্থ করে বাংলাদেশকে পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। এই সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নিজেদের পেটোয়া ছাত্রলীগ-যুবলীগ দিয়ে গোটা দেশকে ‘ডেঞ্জার জোনে’ পরিণত করেছে।
তিনি বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় জনজীবনে এক দুর্বিষহ নৈরাজ্য নেমে এসেছে। ফলে কৃষি, শিল্পের উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধিসহ নজিরবিহীনভাবে খাদ্য মূল্যস্ফীতি অতীতের সব রেকর্ড ছাড়াতে শুরু করেছে। যখন বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের দাম কমেছে তখন দেশে মূল্য বৃদ্ধি করা কর্তৃত্ববাদী বাকশালী সরকারের দম্ভের বিকৃত প্রকাশ।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, গত শুক্রবার আওয়ামী সরকারের গণবিরোধী সিদ্ধান্তে ভোলায় বিএনপি’র শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচিতে গুলি চালিয়ে ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের দু’জন নেতার প্রাণ কেড়ে নেয়ার পর জনদৃষ্টিকে বিভ্রান্ত করতে এবং জনরোষ থেকে বাঁচার জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে জনগণের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেয়া হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, গণআন্দোলনের ভয়ে ভীত হয়ে পড়ায় সরকারের এখন জুলুমের বৈচিত্র্যময় রূপ দেখা যাচ্ছে। এই ঘটনায় আওয়ামী লীগের ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে দেশবাসী শঙ্কিত। এরা যে আগামী নির্বাচনে একতরফা ভোট করার জন্য জনগণের ওপর পূর্ণমাত্রায় আগ্রাসন চালাবে পুলিশি হামলায় তারই নমুনা ফুটে উঠেছে।
বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর ওপর পুলিশি হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি আহতদের সুস্থতা কামনা করেন।