সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে প্রথমদিনের ভোট শুরু হলেও বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের বাধার মুখে তা আপাতত বন্ধ রয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ বন্ধ রয়েছে।
এদিকে নির্বাচনে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকদের ওপর লাঠিচার্জ ও মারধর করেছে পুলিশ। এতে এটিএন নিউজের সিনিয়র রিপোর্টার জাবেদ আখতার, আজকের পত্রিকার রিপোর্টার নুর মোহাম্মদ ও বৈশাখী টিভির ক্যামেরাপার্সন ইব্রাহিমসহ অন্তত আট জন আহত হয়েছেন।
বুধবার (১৫ মার্চ) সকাল ১০টায় বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা নির্বাচনে বাধা দেন এবং দুপুর সোয়া ১২টার দিকে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গনে সাংবাদিকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনা ঘটে।
এদিন সকাল আটটার আগে থেকেই ভোট দেওয়ার জন্য জড়ো হতে থাকেন আইনজীবীরা। এর মধ্যে সরকার সমর্থক আইনজীবীরা (সাদা প্যানেল) ভোট দিতে লাইনে দাঁড়িয়ে যান। কয়েকজন আইনজীবী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগও করেন। কিন্তু বাধা দেন বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত নীল প্যানেলের আইনজীবীরা। এরপর থেকে ভোটগ্রহণ বন্ধ রয়েছে।
বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেলের প্রার্থীরা জানিয়েছেন, নির্বাচন পরিচালনা সাব-কমিটির আহবায়ক নির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে দেওয়া হবে না।
আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরা জানিয়েছেন, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের দাবিতে বিক্ষোভ চলছে। এতে ভোটগ্রহণ বন্ধ রয়েছে। তাদের দাবি নির্বাচন কমিশন ঠিক না হলে তারা ভোট হতে দেবেন না।