রবিবার , ১৩ আগস্ট ২০২৩ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. London Mirror Specials
  2. অন্যান্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জেলার খবর
  9. ঢাকা
  10. তথ্য-প্রযুক্তি
  11. প্রবাসের কথা
  12. বরিশাল
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

আওয়ামী লীগ সবসময় ইসলামের উন্নয়নে কাজ করে: প্রধানমন্ত্রী

প্রতিবেদক
Newsdesk
আগস্ট ১৩, ২০২৩ ২:৪৬ অপরাহ্ণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ ইসলামকে জঙ্গিবাদের ধর্ম হিসেবে বিশ্বের কাছে তুলে ধরেছে। মানুষ হত্যা করে বেহেশতে যাওয়া যায় না। ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে কিছু মানুষকে বিপথে নেয়া হয়। এর থেকে ইসলাম ধর্মকে রক্ষা করতে হবে। সন্ত্রাসীদের কোন ধর্ম নেই।

তিনি আরও বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম, সবার সমান অধিকারের কথা বলা হয়েছে এখানে। নারীদের অধিকার একমাত্র ইসলাম ধর্মেই দেয়া হয়েছে।

রোববার জাতীয় হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতার পুরস্কার ও সম্মাননা ক্রেস্ট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

সন্তান যেন বিপথে গিয়ে জঙ্গিবাদের না জড়িয়ে যায় সেজন্য অভিভাবকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনাদের সকলের কাছে আমার অনুরোধ আমাদের ধর্মের মানইজ্জতটা রক্ষা করবেন। যারাই কাজ করছেন, কার ছেলে-মেয়ে কোথায় কার সঙ্গে মেশে, কোথায় যায় এগুলো দেখতে হবে। এই যে ইসলামের নামে বদনাম, সেটা ঘোচাতে হবে। সামান্য মুষ্টিমেয় কয়েকজনের জন্য পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ শান্তির ধর্ম ইসলাম, তার সঙ্গে কেন সন্ত্রাসী নাম যুক্ত হবে?

সব ধর্মের লোকই এই দেশে সম্মানের সাথে বসবাস করেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস নির্মূল করার ক্ষেত্রে আমি আপনাদের সহযোগিতা চাই। আমরা যার যার ধর্ম সে সে পালন করব। যেটা আমাদের নবীর শিক্ষা, আমরা সেই শিক্ষা নিয়েই চলব। বিচার তো আল্লাহ করবেন। কাজেই কে ভালো মুসলমান, কে খারাপ মুসলমান, কে হিন্দু, কে খৃষ্টান এগুলো আমাদের দেখার বিষয় না। যার যার কর্মফল সে সে ভোগ করবে।

প্রধানমন্ত্রী বলনে, মাত্র সাড়ে তিন বছরের সরকারে বঙ্গবন্ধু ইসলামের উন্নয়নে ব্যাপক পদক্ষেপ নেন। তাঁর নেতৃত্বে মুসলিম বিশ্বসহ আরব দেশগুলোর সাথে সুসম্পর্ক স্থাপিত হয়। বঙ্গবন্ধুর কূটনৈতিক দূরদর্শীতার কারণে বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে ওআইসি’র সদস্যপদ লাভ করে।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ব ইজতেমার জন্য জায়গা বরাদ্দ দেন বঙ্গবন্ধু, তিনি আইন করে বন্ধ করেন ঘোড়দৌড় ও জুয়া। বেতার এবং টেলিভিশনে কোরআন তেলাওয়াত প্রচলন করেন।

সেই ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগ সরকার সরকার সবসময় ইসলামের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে সরকারি অর্থায়নে ৫৬৪ টি মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার কাজ চলছে, ২৫৯ টি মসজিদ উদ্বোধন করা হয়েছে। কওমী মাদ্রাসার স্বীকৃতি দিয়েছে আওয়ামী সরকার। হাজীদের সুবিধায় ই-হজ্জ্ব ব্যবস্থাপনা করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকায় বাংলাদেশ আজ বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। বর্তমান সরকার ২ কোটি ৩৫ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। রপ্তানি আয় বেড়ে ৬০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। দারিদ্র্যের হার এখন ১৮.৭ শতাংশ। মাথাপিছু ২ হাজার ৭৬৫ মার্কিন ডলার। আর দেশের মানুষের সাক্ষরতার হার এখন ৭৫.৬ শতাংশ।

পদ্মা সেতু নিয়ে যারা দুর্নীতির অপবাদ দিয়েছিল তাদের চ্যালেঞ্জ করে পদ্মা সেতু আজ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিজের অর্থ দিয়েই আমরা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছি আমরা কারো মুখাপেক্ষী না। এই এক সিদ্ধান্তই বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উন্নত করেছে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

সারাবিশ্বে খাদ্যের দাম বেড়ে গেছে তাই নিজেদের খাদ্য নিজেদের উৎপাদন করার আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারো কাছে হাত পাততে চায় না বাংলাদেশ। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে দেখে মানুষ আজ দুবেলা খেতে পারছে। সকলের জন্য শিক্ষার ব্যবস্থা করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ যাত্রা শুরু করবে।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক