নির্বাচনী প্রচারে জনসভা করতে মঙ্গলবার ফরিদপুর যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। দলীয় সভাপতির এই সফর ঘিরে উৎফুল্ল নেতাকর্মীসহ ফরিদপুরের সাধারণ মানুষ। নেতাকর্মীরা মনে করেন, এই সফরের প্রভাব পড়বে ভোটারদের মধ্যে।
বিকেলে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে নির্বাচনী সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন শেখ হাসিনা। দীর্ঘ পাঁচ বছর পর বঙ্গবন্ধু কন্যার এই ফরিদপুর সফর। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ফরিদপুরে গিয়েছিলেন তিনি। সফর ঘিরে উচ্ছ্বাসিত ফরিদপুরের সাধারণ মানুষরা বলছেন, তাদের প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ শেখ হাসিনার এই সফর। কারণ ফরিদপুরের সাথে শেখ হাসিনার রয়েছে আত্মার সম্পর্ক।
দলীয় সভাপতির এ সফরকে ঘিরে উচ্ছ্বসিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও। তারা মনে করেন, শেখ হাসিনার এ সফর জেলার চারটি আসনে নৌকার প্রার্থীদের বিজয়ে ভূমিকা রাখবে।
ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র অমিতাভ বোস বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জনসভা উপলক্ষ্যে মাঠে ৫০ হাজার নেতাকর্মীসহ সড়ক এবং আশপাশের এলাকায় মোট এক লাখ লোকের সমাগমের প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ। এ সভায় সভাপতিত্ব করবেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শামীম হক। সভায় ফরিদপুরের বাকি তিনটি সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরাও উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।
ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক বলছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যার কাছে ফরিদপুরের অনেক প্রত্যাশা। তার এই সফরে প্রত্যাশা পূরণের আশ্বাস পাওয়া যাবে বলে মনে করেন শামীম।
প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের মাঠে জনসভা উপলক্ষ্যে একদিকে অবস্থিত স্থায়ী মঞ্চ ঘিরে বাঁশ দিয়ে নিরাপত্তা বেষ্টনী বানানো হয়েছে। মাঠে নারী ও পুরুষদের জন্য আলাদা বসার জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী, ভিআইপি ও সাধারণ মানুষজন মাঠে প্রবেশের পথ করা হয়েছে। পাশাপাশি শহরজুড়ে হয়েছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান। সমাবেশ মাঠ সংলগ্ন এলাকাজুড়ে সড়কের পাশের গাছের নিচের অংশ সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য রঙ করা হয়েছে।
ফরিদপুর পৌরসভার উদ্যোগে সড়ক পরিষ্কার করা ও সেসব ড্রেনের স্লাবে ত্রুটি আছে সেগুলোসহ রাস্তাঘাটের ছোটখাটো সংস্কার করে শহরের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।