বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় দোকান কর্মচারী শাহজাহান আলীকে হত্যার মামলায় আলোচিত সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানকে আটদিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরফাতুল রাকিবের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিউমার্কেট থানার উপপরিদর্শক মো. সজিব মিয়া জিয়াউলকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
জিয়াউল আহসানের পক্ষে তার বোন অ্যাডভোকেট নাজনীন নাহার রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আটদিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
গত ১৫ আগস্ট গভীর রাতে ঢাকার খিলক্ষেত এলাকা থেকে জিয়াউল আহসানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে নিউমার্কেট থানার এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
শেখ হাসিনার সরকারের সময় নানাভাবে আলোচনায় এসেছিলেন জিয়াউল আহসান। সম্প্রতি কোটা সংস্কার নিয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঠেকাতে ডিজিটাল ক্র্যাকডাউনে জিয়াউল আহসানই অন্যতম ভূমিকা পালন করেন বলেও বেরিয়ে এসেছে।
সরকার পতনের পরই গত সাত আগস্ট দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করেন জিয়া। কিন্তু হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে জিয়াকে বহনকারী ফ্লাইটটি বোর্ডিং ব্রিজে ফিরিয়ে আনা হয়।
২০০৯ সালে মেজর থাকাকালে র্যাব-২-এর উপঅধিনায়ক হন জিয়াউল আহসান। ওই বছরই তিনি পদোন্নতি পেয়ে লেফটেন্যান্ট কর্নেল হন এবং র্যাব সদর দফতরের গোয়েন্দা শাখার পরিচালকের দায়িত্ব পান। সে সময় থেকেই তাকে নিয়ে নানা বিতর্ক তৈরি হয়।
পরে জিয়া আরও পদোন্নতি পান এবং ২০২২ সাল থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন পর্যন্ত এনটিএমসির মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে তিনি ওই সংস্থার পরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন।