শুক্রবার , ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. London Mirror Specials
  2. অন্যান্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জেলার খবর
  9. ঢাকা
  10. তথ্য-প্রযুক্তি
  11. প্রবাসের কথা
  12. বরিশাল
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

আদমজী ইপিজেডের ৩ শতাধিক পোশাকশ্রমিক অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে

প্রতিবেদক
Newsdesk
ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৪ ১২:২৪ অপরাহ্ণ

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আদমজী ইপিজেডের ইপিক গার্মেন্ট নামক একটি পোশাক কারখানার প্রায় ৩ শতাধিক শ্রমিক ফুড পয়জনিংয়ে আক্রান্ত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে আক্রান্তরা নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি হয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদমজী ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মসিউদ্দিন মেজবাহ।

তিনি জানান, ইপিক গার্মেন্টসের প্রায় ৮ থেকে ৯ হাজার শ্রমিকদের নিয়ে বাৎসরিক অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে দুপুরের খাবারের পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হচ্ছিল। সন্ধ্যার পরে ধীরে ধীরে শ্রমিকরা একের পর এক অসুস্থ হতে থাকেন। পরে তাদের কয়েকজনকে বেপজা হসপিটালে পাঠানে হয়। বাকিদের নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক এসকে ফরহাদ জানান, আমাদের এখানে ২২ জন ভর্তি হয়েছেন। এছাড়া বেশ কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

ইপিকল গার্মেন্টের এক কর্মকর্তা জানান, প্রায় ৩০০ শ্রমিক ও তাদের সঙ্গে আসা পরিবারের লোকজন দুপুরের খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপতাল, ৩০০ শয্যা হাসপাতাল, সিদ্ধিরগঞ্জের আলিফ হাসপাতাল এবং প্রো-একটিভ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

রহিমা নামে এক শ্রমিক জানান, আমাদের অনুষ্ঠানে খাবার খাওয়ার পর বিকেল থেকে শ্রমিকদের হঠাৎ করে বমি ও পায়খানা হতে থাকে। এরপর একই অবস্থা হয় অনেকের।

শ্রমিকদের সঙ্গে খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জের আলিফ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ইপিকল গার্মেন্টের সহকারী ম্যানেজার (অপারেশন) ইমরান হোসেন মিরাজ।

হাসপাতালের বিছানায় শুয়েই তিনি বলেন, আমাদের এখানে আগে যে খাবার খেয়েছি কোনোদিন সমস্যা হয়নি। আগেও এমন অনুষ্ঠানে আমাদের কোনো সমস্যা হয়নি। এই প্রথম সমস্যা দেখা দিয়েছে। এটা বিশ্বাস হচ্ছে না। তবে যারা খাবারের কন্ট্রাক্ট নিয়েছে তাদের কোনো সমস্যা হয়ে থাকতে পারে। আমাদের ম্যানেজমেন্ট খুব শক্ত, সেখানে এমন হবার কথা নয়।

তিনি বলেন, আমাদের ৮ থেকে ৯ হাজার শ্রমিক রয়েছেন। তাদের খাবারের কন্ট্রাক্ট দেওয়া হয়েছিল, মনে হয় তাদের এখান থেকেই সমস্যা হয়েছে। আমরা দুপুর দেড়টা থেকে ২ টার দিকে খাবার খেয়েছি। বিকেল ৪ টা থেকে সাড়ে ৪ টার মধ্যে আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক