সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫
সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫

আনোয়ারুল আজিমের হত্যারহস্যের জট খুলছে না এখনো

সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যার জট খুলছে না এখনো। তার ব্যবসায়িক অংশীদার আক্তারুজ্জামান শাহীনের পরিকল্পনায় তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।

এছাড়া আনারের মরদেহ পাওয়া নিয়েও তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। কলকাতা পুলিশের ধারণা, আনারকে সঞ্জীভা গার্ডেনে হত্যা করার পর মরদেহ অন্য কোথাও সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এ নিয়ে এখনো তদন্ত চলছে।

এদিকে, এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে এরমধ্যেই তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে বাংলাদেশের গোয়েন্দা পুলিশ। কলকাতায় খুন হলেও, তার হত্যাকারীরা বাংলাদেশি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

গেলো ১৩ মে বিকেল পাঁচটায় কলকাতার নিউটাউনের সঞ্জীভা গার্ডেন থেকে শেষ বারের মতো বেরিয়ে যান খুন হওয়া সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার।

গত ১২ মে ভারতের কলকাতায় আসার পর দিন ১৩ মে থেকে রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হয়ে যান ঝিনাইদহ-৪ আসনের এই সংসদ সদস্য। চিকিৎসার কথা বলে পরিবারের কাছ থেকে বিদায় নেয়ার পর সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার ১২ মে দর্শনা–গেদে সীমান্ত দিয়ে কলকাতা আসেন।

কলকাতায় এসে তিনি উঠেছিলেন দীর্ঘদিনের পরিচিত বরানগরে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। দু’দিন সেখানে থাকার পর ১৪ তারিখ তিনি গোপালকে জানান, বিশেষ প্রয়োজনে তিনি বের হচ্ছেন, আজই ফিরে আসবেন। তবে তার পরদিনও আনার না ফেরায় গোপাল নিখোঁজ ডায়েরি করেন।

এরপর বুধবার সকালের দিকে তার খুনের খবর সামনে আসে। জানা যায়, কলকাতার কাছেই নিউটাউনের অভিজাত আবাসন সঞ্জীবা গার্ডেনের (ব্লক ৫৬ বিইউ) একটি ফ্ল্যাটে আনারকে খুন করা হয়। এদিন সকালের দিকে ঘটনাস্থলে যায় স্থানীয় বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের অধীনস্ত নিউটাউন থানার পুলিশ।

পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ফরেনসিক টিম, ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞ, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের সদস্যরা। এমনকি খুনের গুরুত্ব অনুধাবন করে তদন্তে নামে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (সিআইডি)। তখনও পুলিশ এমপি আনারের মরদেহ পাওয়া গেছে কি না, সেটা বলেনি।

বুধবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের আইজি (সিআইডি) অখিলেশ চতুর্বেদী বলেন, বাংলাদেশের এমপি আনোয়ারুল আজিম ব্যক্তিগত সফরে এসে এখান থেকে নিখোঁজ হয়ে যান। ১৮ মে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কাছে একটি নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়।

সংসদ সদস্যের পরিচিত গোপাল বিশ্বাস এই অভিযোগ দায়ের করেন এবং সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই আমরা তদন্ত শুরু করি। এই তদন্ত করার জন্য একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (এসআইটি) গঠন করা হয়। এরপর গত ২০ মে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করার নির্দেশ দেয়।

তিনি বলেন, বুধবার আমাদের কাছে একটি তথ্য আসে যে তাকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। এরপরই আমাদের পুলিশ এই ফ্ল্যাটটিকে শনাক্ত করে কারণ, এখানেই তাকে শেষবার তার দেখা গিয়েছিলো। মামলার তদন্তভার সিআইডির হাতে দেয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।

ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরো জানান, তারা এখনো লাশ উদ্ধার করতে পারেনি। তিনি বলেন, আমরা মামলার তদন্ত শুরু করেছি। আমাদের কাছে যা তথ্য আছে তাতে ১৩ তারিখে ওই এমপি এই আবাসনে ঢুকেছিলেন। তবে এর আগে এসেছিলেন কি না সেটি আমাদের কাছে পরিষ্কার নয়।

তার সঙ্গে আরো কয়েকজন ছিলেন কি না, তা এখনো তদন্ত সাপেক্ষ বলেও জানান পুলিশের আইজি। ওই সংসদ সদস্যের মরদেহ টুকরো টুকরো করা হয়েছে বলে যে খবর সামনে এসেছে সে বিষয়ে প্রশ্ন করলে অখিলেশ চতুর্বেদী বলেন, তদন্ত শুরু করা হয়েছে। এটা এখনই বলা সম্ভব নয়। ফরেনসিক টিম, ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞ, ফটোগ্রাফি সকলকেই এই তদন্তে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তারা খতিয়ে দেখছেন।

তিনি বলেন, যে ফ্ল্যাট বাংলাদেশের এমপি এসে উঠেছিলেন সেটি সন্দীপ রায় নামে এক ব্যক্তির। তিনি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আবগারি দপ্তরে কাজ করেন। সন্দীপ রায় ফ্ল্যাটটি ভাড়া দিয়েছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (প্রবাসী বাংলাদেশি) বাসিন্দা আখতারুজ্জামান নামে এক ব্যক্তিকে।

১৩ মে বিকেল পাঁচটায় কলকাতাল নিউটাউনের সঞ্জীভা গার্ডেন থেকে শেষবারের মতো বেরিয়ে যান সদ্য খুন হওয়া সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার। সুজুকি মডেলের একটি লাল রঙের গাড়িতে তার বেরিয়ে যাবার সিসিটিভি ফুটেজ এসেছে একাত্তরের হাতে। এই ছবিতে তার সাথে আরও দুজনকে দেখা গেছে। এরইমধ্যে গাড়িটি জব্দ করলেও ওই দুই ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি কলকাতা পুলিশ।

সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায় ১৩ মে বিকেল পাঁচটা ২৩ মিনিট সঞ্জীবা গার্ডেনের সামনে সুজুকি মডেলের লাল রঙের একটি গাড়িতে ওঠেন আনোয়ারুল আজিম। গাড়িটির নম্বর ডব্লিউবি ১৮এএ৫৪৭৩। অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের গেটের সামনে এক লোকসহ দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। পরে গাড়িটি এসে থামলে আরও একজন নামেন। একটু পরই সেই গাড়িতে চলে যান এমপি আনার। এই গাড়িটিও আটক করেছে কলকাতা পুলিশ।

গত ১৮ মে বরাহনগর থানায় আনোয়ারুলের নিখোঁজের যে অভিযোগ দায়ের করা হয় তা নিয়ে চূড়ান্ত বিভ্রান্তি রয়েছে। বরাহনগর থানায় যে নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে সে অনুযায়ী, গত ১২ মে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বরানগর থানার অন্তর্গত ১৭/৩ মণ্ডল পাড়া লেনের বাসিন্দা তার দীর্ঘদিনের পরিচিত গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে উঠেন আনোয়ারুল আজিম।

মূলত চিকিৎসার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ওই বন্ধুর বাড়িতে যান এমপি আনোয়ারুল। পরদিন ১৩ মে দুপুর ১.৪১ মিনিটে ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশ্যে বের হয়ে যান। যাবার সময় বলে যান, তিনি দুপুরে খাবেন না। সন্ধ্যায় ফিরবেন। যাওয়ার সময় নিজেই গাড়ি ডেকে বিধান পার্ক এলাকায় ক্যালকাটা পাবলিক স্কুলের সামনে থেকে গাড়িতে উঠে চলে যান।

কিন্তু পরে সন্ধ্যায় বন্ধুর বাসায় না ফিরে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ দেন, তিনি দিল্লি চলে যাচ্ছেন। দিল্লিতে গিয়ে তিনিই ফোন করবেন। দু’দিন পর ১৫ মে সকাল ১১.২১ মিনিটে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করে জানান তিনি দিল্লি পৌঁছে গেছেন। তার সাথে বেশ কিছু ভিআইপি ব্যক্তি রয়েছে, তাই তাকে ফোন করার দরকার নেই। প্রয়োজনে তিনিই ফোন করে নেবেন।

এই সব মেসেজ নিজের ব্যক্তিগত সহকারীকে (পিএ) জানানোর পাশাপাশি বাংলাদেশে তার বাড়িতেও পাঠিয়ে রাখেন বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দলের এই সংসদ সদস্য। এরপর গত ১৬ মে সকালবেলা দিল্লি থেকে আনার তার ব্যক্তিগত সহকারীকে ফোন করেন। কিন্তু সে সময় তার সহকারী ফোন ধরতে পারেননি। কিন্তু পরে যখন তিনি ফিরতি ফোন করেন, সে সময় এমপির দিকে থেকে কোন রকম উত্তর পাওয়া যায়নি।

গত ১৭ মে এমপির মেয়ে বাংলাদেশ থেকে গোপাল বিশ্বাসকে ফোন করে জানান তিনিও তার বাবার সাথে কোনভাবেই যোগাযোগ করতে পারছেন না। ওই ঘটনার পর থেকেই গোপাল ঝিনাইদহে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারলেও এমপি আনারের সঙ্গে নোভাবেই যোগাযোগ করে উঠতে পারেননি।

পরে গত ১৮ মে বরাহনগর থানায় একটি নিখোঁজের ডায়েরি করেন গোপাল বিশ্বাস। থানার থেকে পুলিশের এক প্রতিনিধি দল অভিযোগকারী গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে আসেন। এরপর থেকে গত কয়েকদিন ভারতে তার অবস্থান নিয়ে নানা জল্পনা ছড়ায়।

কখনও মুজাফফরপুর আর কখনও দিল্লিতে তার অবস্থান ছিলো বলে বিভিন্ন সূত্র জানায়। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান হারুন অর রশীদও সাংবাদিকদের মুজাফফরপুরের কথা জানান। থানায় অভিযোগ পত্রে উল্লেখ দুইটি মোবাইল নম্বরে (একটি ভারতীয় সিম) যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তা বিফলে যায়। এমনকি পুলিশও তার মোবাইল ট্র্যাক করে ভারতের বিহার-ঝাড়খন্ড সীমান্তে শেষ লোকেশন পায়।

অবশেষে নিখোঁজ থাকার প্রায় ১০ দিন পর বুধবার তার মৃত্যুর বিষয়টি সামনে আসে। এদিন সকালে নিউটাউনের ওই অভিজাত আবাসনে আসে নিউটাউন থানার পুলিশ। পরে ওই নির্দিষ্ট ফ্ল্যাট খুলে তার ভেতরে রক্তের দাগ দেখতে পায় তারা। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছে যায় গণমাধ্যমের কর্মীরাও। কলকাতায় কর্মরত বাংলাদেশ গণমাধ্যমে প্রতিনিধিদের পাশাপাশি কলকাতার সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে পুলিশ সূত্রের খবর, ওই আবাসনের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ জানতে পারে, গত ১৩ মে এই আবাসনে উঠেন আনোয়ারুল আজিম। তার সাথে ছিলেন আরো তিন ব্যক্তি, যার মধ্যে ছিলেন একজন নারী। এরপর ওই দিনই আনোয়ার আবাসনের বাইরে না বেরোলেও বাকিরা বেশ কয়েকবার ওই আবাসনে আসা-যাওয়া করেন।

সূত্র জানায়, ওই দিনই আবাসনের নির্দিষ্ট ঘরে পানাহারের আয়োজন করা হয়। তার সঙ্গে ছিলেন আরো তিন জন। যার মধ্যে ছিলেন ওই নারীও। পুলিশ সূত্র বলছে, আনোয়ারুল এক পর্যায়ে বেহুঁশ হয়ে গেলে তাকে খুন করা হয়। প্রথমে তার পোশাক দিয়ে শ্বাস রোধ করা হয়। এরপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে মাথায় ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করা হয়। আর তারপরেই লাশকে টুকরো টুকরো করে ট্রলি করে বাইরে সরিয়ে দেয়া হয়।

আরেকটি সূত্র দাবি করছে, আনোয়ারুলকে হত্যার ছক তৈরি করা হয়েছিলো যুক্তরাষ্ট্রে বসে। ওই এমপি কবে কলকাতা ঢুকছেন, কোথায় থাকবেন, তার সব তথ্যই জেনে নেন হত্যাকারীরা। একাজে তাদের সহায়তা করতে ওই ফ্ল্যাটটি তাদের দেন ভাড়া নেয়া আখতারুজ্জামান শাহিন। ফ্ল্যাটে যে নারী ছিলেন তিনিই এমপি আনোয়ারুল আজিমকে ভারতে ডেকে এনেছিলেন। আখতারুজ্জামন খুনের প্রধান সন্দেহভাজন এই শাহিন।

ঝিনাইদহের কোটচাদপুর পৌর মেয়র শহিদুজ্জামান সেলিমের ছোট ভাই এই শাহিন। গোয়েন্দা পুলিশেরই একটি সূত্র জানায়, কলকাতা থেকে বাংলাদেশে ফিলে শাহিন যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে গেছেন।

বুধবার সকালে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার মানব শ্রিংলা সাংবাদিকদের জানান, আনোয়ারুল আজিম শেষ যে ভাড়া গাড়িটি কলকাতায় ব্যবহার করেছিলেন, সেই ক্যাবটির চালক জেরার মুখে স্বীকার করেছে ওই যাত্রীকে খুন করে তার দেহ টুকরো টুকরো করে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছিলো। তবে লাশ কোথায় ছড়িয়ে দেওয়া হয় সে ব্যাপারে তিনি কিছু বলেননি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, এমপি আনার খুনের ঘটনায় দেশে তিন জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুই জন সম্প্রতি কলকাতা থেকে বাংলাদেশে এসেছেন। আর পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, হত্যাকাণ্ডের ‘মূলহোতা’সহ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। কলকাতা পুলিশও সন্দেহভাজন দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিমকে হত্যার কারণ সম্পর্কে তার পরিবার, রাজনৈতিক দল, দুই দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা সরকারের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট করে এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান ও অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বুধবার দুপুরে ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, বিভিন্ন ধরনের ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। আসলে এটা কী কারণে ঘটেছে জানতে আমাদের তদন্ত চলছে। এটা পারিবারিক নাকি আর্থিক, অথবা এলাকায় কোনো দুর্বৃত্ত দমন করার কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে কি না, সবকিছু আমরা তদন্তের আওতায় আনবো।

তিনি আরও বলেন, এটি নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ড- এটা মনে করেই তদন্তকারী কর্মকর্তারা কাজ করছেন। নিবিড়ভাবে ভারতীয় পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। কয়েকজন আমাদের কাছে আছে, তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচ্ছি। তদন্তের স্বার্থে আমরা সব কিছু বলতে পারছি না।

Facebook
X
WhatsApp
Email
Telegram
সর্বশেষ
ফেসবুক নেটওয়ার্ক ও পার্টনার পেজ
মিডিয়া
Cover for Table Talk Uk
595,824
Table Talk Uk

Table Talk Uk

Table Talk UK Discusses the political and social issues of the country. Our only purpose is to expose social inconsistencies and politics in the face of accountability on the path to democracy and talk about the rights of people.

This message is only visible to admins.
Problem displaying Facebook posts. Backup cache in use.
PPCA Error: Due to Facebook API changes it is no longer possible to display a feed from a Facebook Page you are not an admin of. The Facebook feed below is not using a valid Access Token for this Facebook page and so has stopped updating.

Smash Balloon Custom Facebook Feed WordPress Plugin The Custom Facebook Feed plugin

সর্বশেষ সংবাদ জানতে—এখনই সাবস্ক্রাইব করুন!
সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫
কপিরাইট © 2025 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত — লন্ডন মিরর।
সম্পাদক: হাসিনা আক্তার
সার্চ করুন
লগইন/সাইন আপ
সর্বশেষ সংবাদ জানতে—এখনই সাবস্ক্রাইব করুন!