বুধবার , ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. London Mirror Specials
  2. অন্যান্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জেলার খবর
  9. ঢাকা
  10. তথ্য-প্রযুক্তি
  11. প্রবাসের কথা
  12. বরিশাল
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

‘আন্দোলনের রিহার্সাল চলছে, ফাইনাল এখনো শুরু হয়নি’

প্রতিবেদক
Newsdesk
সেপ্টেম্বর ২১, ২০২২ ২:০০ অপরাহ্ণ

সংঘর্ষের এক সপ্তাহের মধ্যে বুধবার মিরপুরে শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে বিএনপির সমাবেশ। সমাবেশ ঘিরে উত্তেজনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। জ্বালানি তেল, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, নেতাকর্মী হত্যা ও হামলার প্রতিবাদে বিকালে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

সমাবেশে বিএনপি নেতারা বলেন, ‘হামলা মামলা করে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। নেতাকর্মীরা সব ভয়কে জয় করে রাজপথে নেমে এসেছে। রাজপথেই এবার ফয়সালা হবে।’

তারা বলেন, ‘আন্দোলনে জোয়ার শুরু হয়েছে, জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে না দিয়ে ঘরে ফিরে যাব না। আন্দোলনের রিহার্সাল চলছে, ফাইনাল খেলায় এখনো নামিনি। আন্দোলনে যারা রক্ত দিয়েছেন- তা বৃথা যাবে না। রক্ত দিয়েই গণতন্ত্র উদ্ধার করব।’

এর আগে ১৫ সেপ্টেম্বর সংঘর্ষের ঘটনায় মিরপুরে সমাবেশ করতে পারেনি বিএনপি। ওইদিন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এত অনেক নেতাকর্মী আহত হন।

আজ মিরপুর ৬নং সেকশনের বায়তুল মোশাররফ মসজিদের গলিতে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর ২টার পর থেকে বিএনপি নেতাকর্মীরা ব্যানার, ফেস্টুন এবং লাঠি ও স্ট্যাম্পে জাতীয় পতাকা এবং দলীয় পতাকা টানিয়ে মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সমাবেশস্থলে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি বেড়ে যায়।

এদিকে বিএনপির সমাবেশ ঘিরে মিরপুর এলাকায় সৃষ্টি হয় উত্তেজনা। আওয়ামী লীগ বাধা না দিলেও তারা লাঠিসোটা নিয়ে সমাবেশের আশেপাশে অবস্থান নেয়। ৮নং ওয়ার্ড যুবলীগের উদ্যোগে সনি সিনেমা হল সংলগ্ন ঈদগাঁও মাঠের পাশে বিক্ষোভ সমাবেশ করে নেতাকর্মীরা। তবে সমাবেশ ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক প্রস্তুতি ছিল। সমাবেশস্থল ছাড়াও আশপাশের এলাকায় তাদের সতর্ক অবস্থান লক্ষ্য করা গেছে।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, আব্দুস সালাম, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, কেন্দ্রীয় নেতা নাজিমুদ্দিন আলম, সাইফুল আলম নীরব, মীর সরফত আলী সপু, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য তাবিথ আউয়াল, জিয়াউর রহমান, দেলোয়ার হোসেন দুলু, যুবদলের মামুন হাসান, শফিকুল ইসলাম মিল্টন, স্বেচ্ছাসেবক দলের রাজীব আহসান, আজিজুর রহমান মোছাব্বির প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বিশ্বকে আহ্বান জানাই গণতন্ত্র উদ্ধারে পাশে থাকুন। আমাদের ক্ষমতা এনে দিতে হবে না। কে ক্ষমতায় আসবে তা জনগণই টিক করবে। শেখ হাসিনার সব খেলা শেষ। সাহায্য আনতে গিয়ে পায়নি। রাতে ভোট কাটারও তার লোক নাই। তাই নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করেই বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে। নিশ্চিতে ভোট দেওয়ার প্রস্তুতি নিন। চিকন লাঠিতে কাজ না হলে মোটা লাঠি নিয়ে রাজপথে নামুন। ওরা পরাজিত হবেই।’

গয়েশ্বর বলেন, ‘জনগণ ভোটের মাধ্যমে যাদের দায়িত্ব দেবে তারাই দেশ চালাবে, যারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় তাদের কাছে কোনো দাবি করে লাভ নেই। আজ জনগণের একটাই দাবি সরকারের পদত্যাগ। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিয়ে কিছু হবে না। সবার হাতে মোটা লাঠি থাকতে হবে। কাউকে আঘাত করার জন্য নয়।নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য। তবে আঘাত আসলে পালটা আঘাত করতে হবে।’

ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘উনি প্রায় বলেন, আমাগো আন্দোলন করার মোরদ নাই। আন্দোলন নিয়ে সে কত কথা কয়। এটা মাত্র তো রিহার্সাল, এখনো তো ফাইনাল খেলা আমাদের নেতাকর্মীরা শুরু করে নাই।’

‘নেতাকর্মীদের ওপর যারা হামলা করেছে সেসব অপরাধীদের জনসম্মুখে হাজির করেন। তা না হলে জনগণের কাঠগড়ায় আপনাদের বিচার হবেই। পালটা আঘাত শুরু করলে পালানোর জায়গা পাবেন না। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার যে কথা বলছিলেন সামনে আবার সেই দিন আসছে।’

প্রশাসনের উদ্দেশে গয়েশ্বর বলেন, ‘এখনো সময় আছে জনগণের কাতারে আসেন, সব অন্যায় মাফ হয়ে যাবে। ভয় পাবেন না, ভুল বুঝানো হচ্ছে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আপনাদের চাকরি চলে যাবে।বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কারো চাকরি যাবে না। নিরপেক্ষ থাকুন, নইলে সরে দাঁড়ান।’

‘এই সরকারের অধীনে যারা নির্বাচন করতে চাইবে বা ভাগবাটোয়ারা নির্বাচন করতে চায়- সেটা আমার দলের হোক অন্য কোনো দলের হোক তাদের রাজপথে প্রতিহত করতে নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান গয়েশ্বর।

ইভিএম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘লুটপাট করতেই এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। কয়েকজনের পকেট ভারি হবে।’

সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান বলেন, ‘এবার রাজপথে ফয়সালা হবে। আন্দোলনের মুখে সরকারের বিদায় নিতে হবে। বুক পেতে দেব, রক্ত দেব তবুও এ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে দেব না।’

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক