দুর্নীতি মামলায় তিন বছরের দণ্ড পাওয়ার পর পাকিস্তানের লাহোর থেকে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার ইসলামাবাদের একটি আদালত ইমরানকে এ সাজা দিয়েছেন।
ইমরানের দল পিটিআইয়ের পাঞ্জাব শাখা এক টুইটে জানায়, ইমরান খানকে কোট লাখপত কারাগারে নেওয়া হচ্ছে।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন জানায়, ইসলামাবাদের একটি আদালত তোশাখানা মামলায় ইমরান খানকে দোষী সাব্যস্ত করে এ রায় দেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি ইমরান খানকে এক লাখ রুপি অর্থদণ্ডও দিয়েছেন আদালত।
বিচারক জানিয়েছেন, ইমরান নির্বাচন কমিশনে ইচ্ছাকৃতভাবে ভুয়া কাগজপত্র জমা দিয়েছেন। দুর্নীতি করার তাকে দোষী করা হয়েছে।
ইমরানের বিরুদ্ধে তোশাখানার মামলাটি করেছে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন। মামলায় ইমরানের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে পাওয়া উপহার রাষ্ট্রীয় তোশাখানায় জমা না দিয়ে বিক্রির অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, ইমরান খান পাকিস্তানি মুদ্রায় ১৪০ মিলিয়ন রুপির বেশি অর্থের উপহার বিক্রি করেছেন।
এর আগে ৯ মে আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে গেলে পিটিআই প্রধানকে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের বাইরে থেকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানি রেঞ্জার্স। এর প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা পাকিস্তান। পরে দুই দিনের মাথায় তাকে মুক্তি দেয়া হয়।
শুক্রবার ইমরান খান বিবিসি হার্ডটক অনুষ্ঠানে বলেছেন, চলতি বছরের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচন নিয়ে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী ‘প্রচণ্ড ভীত’ হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেছেন, পাকিস্তান ‘অঘোষিত সামরিক আইনে’ চলছে এবং অভিযোগ করেন যে ‘ফ্যাসিবাদীরা’ একে ‘অন্ধকার যুগের’ দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
২০১৮ সালে ইমরান নির্বাচিত হবার পর চার বছরেরও কম সময় ক্ষমতায় ছিলেন। সংসদীয় অনাস্থা ভোটে গত বছর তিনি ক্ষমতাচ্যুত হন। তিনি বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনই কেবল স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনবে।