সম্পদের তথ্য গোপন ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের মামলার আসামি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের মামলায় রায় ঘোষণার তারিখ ফের পিছিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমামের আদালতে এ মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল।
তবে আব্বাস অসুস্থ থাকায় এদিন তাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়নি। তাই আদালত রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়ে আগামী ২৪ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন। এ নিয়ে রায়ের তারিখ তিন দফা পেছালো।
গত ১৫ নভেম্বর এ মামলায় আব্বাসসহ পাঁচ জনের সাফাই সাক্ষ্য শেষ হয়। পরে ২২ নভেম্বর দুদক ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য ৩০ নভেম্বর দিন ধার্য করেন। এরপর রায় প্রস্তুত না হওয়ায় দুই দফা পিছিয়ে রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়েছিল।
গত ৩১ অক্টোবর সময় আবেদন নামঞ্জুর করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন একই আদালত। একইসঙ্গে ২ নভেম্বর মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য করেন। সেদিন আব্বাসের গ্রেপ্তারের বিষয়ে পুলিশ প্রতিবেদন দিলে আদালত তাকে ৫ নভেম্বর হাজির করতে পরোয়ানা (পিডব্লিউ) ইস্যুর আদেশ দেন। এরপর ৫ নভেম্বর আব্বাসকে আদালতে হাজির করা হলে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সাফাই সাক্ষ্যের জন্য দিন রাখা হয়।
রাজধানীর রমনা থানায় ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট মামলাটি করেছিলেন দুদকের উপপরিচালক মো. শফিউল আলম। এতে অবৈধভাবে ৭ কোটি ৫৪ লাখ ৩২ হাজার ২৯০ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৫৭১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ২৪ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. খায়রুল হুদা আদালতে অভিযোগপত্র দেন। ২০০৮ সালের ১৬ জুন বিচার শুরু হয়। বিচারে ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।