গত বছরের ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে হওয়া ৯ মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
আসামিপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিন রমনা থানার চার মামলা ও মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর পল্টন থানার পাঁচ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর (শ্যোন অ্যারেস্ট) আদেশ দেন।
এসব মামলায় দুপুরেই জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
বুধবার আব্বাসের পক্ষে জামিন আবেদন করেন করেন তার আইনজীবী মহিউদ্দিন চৌধুরী। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরী সেই আবেদনের শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেন আদালত।
এই ৯ মামলার মধ্যে পুলিশ হত্যাসহ পাঁচটি পল্টন ও প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলাসহ চারটি রমনা থানার।
এর আগে গত ২১ জানুয়ারি আব্বাসের জামিন আবেদন গ্রহণ করে ১৫ দিনের মধ্যে আইনানুযায়ী তা নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এক পৃথক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
গত ২৯ অক্টোবর রাজধানীর শাজাহানপুর থানার এক মামলায় মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে ওই মামলা ছাড়া তার বিরুদ্ধে পল্টন, রমনা ও রেলওয়ে থানায় আরও ১০টি মামলা আছে। এসব মামলায় তার জামিন আবেদন করা হলে গত ১০ জানুয়ারি নিম্ন আদালত গ্রহণ করেননি। তাই তিনি ১০ মামলায় জামিন আবেদনগুলো গ্রহণ করে আইন অনুসারে নিষ্পত্তির নির্দেশনা চেয়ে রিট করেন। এর মধ্যে রেলওয়ে থানার মামলাটি ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অধীন হওয়ায় সেই আদালতে জামিনের আবেদন করার কথা জানান তার আইনজীবী।