ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক এবং সাবেক মেজর জেনারেল আলোচিত জিয়াউল আহসানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রাজধানীর নিউমার্কেট থানায় দায়ের করা হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। জিয়াকে বর্তমানে ডিবি হেফাজতে রাখা হয়েছে।
শেখ হাসিনার সরকারের সময় নানাভাবে আলোচনায় এসেছিলেন জিয়াউল আহসান। ফোনে আড়ি পেতে কল রেকর্ড ফাঁস, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ নানা ঘটনায় বিভিন্ন সময় জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ শোনা গেছে।
সম্প্রতি কোটা আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ঠেকাতে ডিজিটাল ক্র্যাকডাউনে জিয়াউল আহসানই অন্যতম ভূমিকা পালন করেন বলেও বেরিয়ে এসেছে।
সরকার পতনের পরই গত সাত আগস্ট দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করেন জিয়া। কিন্তু হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে জিয়াকে বহনকারী ফ্লাইট বোর্ডিং ব্রিজে ফিরিয়ে আনা হয়।
২০০৯ সালে মেজর থাকাকালে র্যাব-২-এর উপঅধিনায়ক হন জিয়াউল আহসান। ওই বছরই তিনি পদোন্নতি পেয়ে লেফটেন্যান্ট কর্নেল হন এবং র্যাব সদর দফতরের গোয়েন্দা শাখার পরিচালকের দায়িত্ব পান। সে সময় থেকেই তাকে নিয়ে নানা বিতর্ক তৈরি হয়।
পরে জিয়া আরও পদোন্নতি পান এবং ২০২২ সাল থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন পর্যন্ত এনটিএমসির মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে তিনি ওই সংস্থার পরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন।