সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়া জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর বাংলাদেশি নাবিকদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রাখা হয়েছে। এখন পর্যন্ত জলদস্যুরা নাবিকদের উপর নির্যাতন করেনি তবে অস্ত্রের মুখে দস্যুদের কথা মেনে চলতে বাধ্য করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) পরিবারের কাছে পাঠানো এক অডিও বার্তায় এমনটাই জানিয়েছেন অপহরণের শিকার জাহাজের চিফ অফিসার আতিকুল্লাহ। জানিয়েছেন, নাবিকদের সামনে দিয়ে দস্যুরা অস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আশপাশে নেভি জাহাজ দেখলেই ওরা মাথায় অস্ত্র ঠেকাচ্ছে।
এদিকে বাংলাদেশের জিম্মি ২৩ নাবিককে উদ্ধার করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মেরিটাইম সিকিউরিটি ফোর্সের একটি যুদ্ধজাহাজ জলদস্যুদের পিছু নিয়েছিল। কয়েক দফায় জলদস্যু ও নৌবাহিনীর (নেভি) সদস্যদের মধ্যে গুলিবিনিময় হয়। একপর্যায়ে জিম্মি বাংলাদেশি নাবিককে একে একে হত্যার হুমকিও দেয় জলদস্যুরা। এর পর কোনো উপায় না থাকায় পিছু হটতে বাধ্য হয় নেভির যুদ্ধজাহাজটি।
প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ বাংলাদেশ সময় বেলা দেড়টায় মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে ‘এমভি আবদুল্লাহ’ জাহাজটিতে উঠে নিয়ন্ত্রণ নেয় সোমালিয়ার জলদস্যুরা। জাহাজটিতে ৫৫ হাজার টন কয়লা রয়েছে। জাহাজে থাকা ২৩ নাবিকের সবাই বাংলাদেশি। জাহাজটি চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এস আর শিপিং লিমিটেডের মালিকানাধীন।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের মার্চে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হয় বাংলাদেশি ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রী। নানাভাবে চেষ্টার পর ১০০ দিনের মাথায় জলদস্যুদের কবল থেকে উদ্ধার করা হয় তাদের।