ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে ছাত্রী ছাত্রী ফুলপরী খাতুনকে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেত্রীসহ পাঁচ শিক্ষার্থীর সাজা পুনরায় নির্ধারণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোড অব কন্ডাক্টের বিধি ১ এর ৪, ৫, ৭ ধারা এবং বিধি ২ এর ৮ ধারা অনুযায়ী ভিসিকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট গাজী মো. মহসীন। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল মামুন।
এর আগে গত ১৯ জুলাই শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুনের নির্যাতনে জড়িত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেত্রীসহ পাঁচ শিক্ষার্থীকে কোন প্রক্রিয়ায় বহিষ্কার করা হয়েছে, তা জনতে চান হাইকোর্ট। রিটকারীর আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন।
ওইদিন রিটকারী আইনজীবী গাজী মো. মহসিন বলেছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবী বলেছেন যথোপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হয়েছে। আমি বলেছি উপযুক্ত শাস্তি হয়নি। কারণ বিশ্ববিদ্যালয় আইনে বলা আছে, ভিসি প্রথম শাস্তি হিসেবে ৫০০ টাকা জরিমানা এবং এক বছরের জন্য বহিষ্কার করবেন। এরপর ভিসি যদি মনে করেন শাস্তি অপরাধের তুলনায় কম হয়েছে তাহলে তিনি এটা ডিসিপ্লিনারি কমিটিতে পাঠাবেন। কিন্তু ভিসি নিজে শাস্তি না দিয়ে সরাসরি ডিসিপ্লিনারি কমিটিতে পাঠিয়ে কমিটির মাধ্যমে শাস্তি দিয়েছেন। এতে আইনের ব্যত্যয় হয়েছে।
ফুলপরীকে নির্যাতনে অভিযুক্ত ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেত্রী সানজিদা চৌধুরীসহ পাঁচ শিক্ষার্থীকে গত ১৫ জুলাই এক বছরের জন্য বহিষ্কার করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী সানজিদা চৌধুরী ওরফে অন্তরা, চারুকলা বিভাগের হালিমা আক্তার ঊর্মি, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মিম, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম ও একই বিভাগের মুয়াবিয়া জাহান। এর মধ্যে সানজিদা চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ছিলেন। অন্যরা ছাত্রলীগের কর্মী। নির্যাতনের ঘটনায় পাঁচজনকেই সংগঠন থেকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।