প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচন এখন পর্যন্ত নির্ভরযোগ্য। এ নিয়ে কোনো অভিযোগ আসেনি। নির্বাচন কমিশন সবসময় ইভিএম-এ নির্বাচন করার পক্ষে।
শনিবার (১১ মার্চ) কক্সবাজারের একটি হোটেলে ‘নির্বাচনি ব্যবস্থায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার : চ্যালেঞ্জসমূহ এবং উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের ‘সক্ষমতা বৃদ্ধি ও শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের আওতায়’ চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ের উদ্যোগে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচন কমিশনের প্রধান কাজ ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগে সুযোগ করে দেওয়া। ভোটাররা কে কোন দলকে ভোট দিয়েছে, সেটা কমিশনের দেখার বিষয় নয়। ভোটাররা যদি ভোট দিতে না পারেন, তাদের যদি প্রতিহত করা হয়; ভোট কেন্দ্রে যদি তাদের অধিকার খর্ব করা হয়- তাহলে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে আমাদের ব্যর্থতার দায় নিতে হবে।
তিনি বলেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেই ব্যাপকভাবে আস্থাভাজন হয়ে ইসি ইভিএম এর পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ইতোপূর্বে ইভিএম পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচন নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনও অভিযোগ আসেনি।
ইসির যে সক্ষমতা রয়েছে তাতে আগামী সংসদ নির্বাচনে ৫০ থেকে ৮০ টি আসনে ইভিএম -এ নির্বাচন করা সম্ভব হবে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, সব দল অংশ নিলে নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচনে হারলেই নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ আসে। গণতন্ত্রের স্বার্থে আমাদের এই সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. আমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নির্বাচন কমিশনার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, প্রকল্প পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সায়েম, চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) মো. আনোয়ার হোসেন, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান ও জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম।
কর্মশালায় নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা, প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, পুলিশ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, নতুন ভোটার, জনপ্রতিনিধি ও বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ সংশ্লিষ্টরা অংশগ্রহণ করেন।