ইরান-ইসরাইল সংঘাত সপ্তম দিনে উভয় পক্ষই পরস্পরের ওপর হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে। এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, এ সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র যোগ দিতেও পারে, নাও দিতে পারে। কেউ জানে না আমি কী করতে চাই।
এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে প্রায় ৪০ হাজার মার্কিন সেনা অবস্থান করছে।
গত কয়েকদিনে যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত ৩০টি সামরিক উড়োজাহাজ আমেরিকার ঘাঁটি থেকে ইউরোপে স্থানান্তর করা হয়েছে। এগুলো সবই ট্যাংকার বিমান, যেগুলো যুদ্ধবিমান ও বোমারু বিমানগুলোকে মাঝ আকাশে জ্বালানি সরবরাহ করতে ব্যবহৃত হয়।
দক্ষিণ চীন সাগর থেকে ইউএসএস নিমিৎজ নামের একটি বিমানবাহী রণতরী মধ্যপ্রাচ্যের দিকে এগোচ্ছে। এর সঙ্গে রয়েছে কয়েকটি গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার (নির্দেশিত ক্ষেপণাস্ত্রবাহী যুদ্ধজাহাজ)।
ওমান উপসাগর ও পারস্য উপসাগরে আরো কিছু যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন রয়েছে, যেগুলো ইতোমধ্যে ইসরাইলকে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করতে সহায়তা করেছে।
রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র এফ-১৬, এফ-২২ এবং এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন ঘাঁটিতে স্থানান্তর করেছে।
অন্যদিকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, ইরান, এর জনগণ এবং এর ইতিহাস সম্পর্কে জানা ব্যক্তিরা কখনোই এই জাতির সাথে হুমকির ভাষায় কথা বলেন না। কারণ ইরানিরা আত্মসমর্পণ করে না।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে তার এই বক্তব্য পাঠ করা হয়। উপস্থাপক নিজেই এটি পড়ে শোনান, খামেনি নিজে নন।
এদিকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বুধবার এক গোলটেবিল আলোচনায় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সম্পাদকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং ইসরাইল-ইরান যুদ্ধের প্রসঙ্গে বলেন, এখনো পর্যন্ত ইরান রাশিয়ার কাছে কোনো সাহায্য চায়নি।
এ বৈঠকের আরও কিছু বিস্তারিত এখন সামনে এসেছে।
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার আশঙ্কা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে পুতিন বলেন, আমি এই আশঙ্কা বা অনুমান নিয়ে কিছু বলতে চাই না। একেবারেই না।














The Custom Facebook Feed plugin