দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর নির্বিচার বোমা হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা। চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে একদিকে আরব দুনিয়ার প্রতিবাদ, অন্যদিকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ হলেও তাতে কান দিচ্ছে না নেতানিয়াহুর সরকার।
নানা সমালোচনা ও প্রতিবাদকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে এই বর্বরতা চালাচ্ছে ইসরাইলি প্রশাসন। রীতিমতো ঘোষণা দিয়ে গাজা ভূখণ্ডে বোমা হামলার মাত্রা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে ইসরাইল। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দাবি, গাজার সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসলামিক জিহাদকে নিশ্চিহ্ন করতেই তাদের এ অভিযান চলছে।
কিন্তু তার দাবির সঙ্গে গাজার বাস্তবতার কোনো মিল নেই। কারণ চারদিকে শুধুই ধ্বংসযজ্ঞ আর বাতাসে লাশের গন্ধ। বিমান হামলায় নিহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশুসহ সাধারণ ফিলিস্তিনি।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, চরম মানবিক সংকটের মধ্যেও গাজায় বোমাবর্ষণ তীব্র থেকে আরও তীব্র করেছে ইসরাইলি বাহিনী। নির্বিচার বোমা হামলায় একদিনেই প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৪০০ নিরীহ ফিলিস্তিনি।
ফিলিস্তিনের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের হামলার পর থেকে রোববারের (২২ অক্টোবর) বোমা হামলার মাত্রা ছিল সবচেয়ে ভয়ংকর।
ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, কোনো সতর্কবার্তা না দিয়েই বেসামরিক স্থাপনায় বোমা ফেলা হচ্ছে। এতে প্রতিদিনই হতাহত হচ্ছে অসংখ্য মানুষ।
প্রসঙ্গত, দখলদার বাহিনীর দীর্ঘদিনের দখলদারিত্ব ও দমন-পীড়নের প্রতিবাদে গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলের অভ্যন্তরে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠন হামাস। এর পর থেকে হামাসের হামলায় এখন পর্যন্ত ১৪০০-এর বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।
অপরদিকে একই দিন থেকে গাজায় পালটা বিমান হামলা শুরু করেছে ইসরাইল। গত ১৫ দিনের অব্যাহত হামলায় প্রায় ৫ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার একটি বড় অংশ নারী ও শিশু।