দখলদার ইসরাইলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ১৮০টিরও বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান। এসময় ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে একাধিকবার বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে ইসরাইলের রাজধানী তেল আবিব।
ফিলিস্তিনি গণমাধ্যমের বরাতে ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনা জানিয়েছে, ইসরাইলের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মঙ্গলবার ইরান থেকে ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্রকে বাধা দিতে ব্যর্থ হয়েছে, যার ফলে তেল আবিবের বেশ কয়েকটি লক্ষ্যবস্তুতে এসব ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ হামলার বিষয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, এটি আমাদের ক্ষমতার একটি অংশ মাত্র। এসময় ইরানের সাথে সংঘাতে না জড়ানোর বিষয়ে ইসরাইলের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারিও উচ্চারণ করেন তিনি।
এদিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরুর পরপরই ইসরাইলজুড়ে সতর্কতা সাইরেন বাজতে শুরু করে। এসময় নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটছে থাকে ইসরাইলিরা।
তেল আবিবের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরের সকল কার্যক্রম বন্ধের পাশাপাশি রাজধানী শহরের বেশ কিছু অঞ্চলে যাত্রী পরিষেবা স্থগিত করে কর্তৃপক্ষ।
ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) দাবি করেছে, এদিন ইসরাইল ভূখণ্ড লক্ষ্য করে কমপক্ষে ১৮০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান। এরমধ্যে বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করার দাবি করলেও, এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি দখলদার বাহিনী।
ইরান বলছে, হিজবুল্লাহ প্রধান সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ এবং লেবাননের বেসামরিক নাগরিকদের হত্যার প্রতিক্রিয়ায় মঙ্গলবার ইসরাইলকে লক্ষ্যবস্তু করেছে তেহরান। ইরানের আধাসরকারি তাসনিম বার্তা সংস্থা ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) বরাত দিয়ে একথা জানিয়েছে।
আইআরজিসি দাবি করেছে, ইরান থেকে ছোঁড়া ৯০ শতাংশ ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে অধিকৃত অঞ্চলে তাদের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে।
ইসরাইল যদি ইরানের হামলার প্রতিক্রিয়া দেখায়, তাহলে তারা আরও নিষ্ঠুর হামলার সম্মুখীন হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে আইআরজিসি।
এদিকে ইসরাইলের রাজধানী তেল আবিবে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের অভিযানে কমপক্ষে আট দখলদার নিহত এবং ২০ জন আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইসরাইলের বাণিজ্যিক রাজধানীতে বন্দুক অভিযান চালায় একদল ফিলিস্তিনি যোদ্ধা। এতেই হতাহতের এ ঘটনা ঘটে।
ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস এবং অন্যান্য প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো বলছে, এই আক্রমণ গাজায় ইসরাইলের বর্বরতার “স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া” মাত্র।