আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইসলামি দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় চলছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামির কেন্দ্রীয় জেনারেল সেক্রেটারি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
তিনি বলেন, অতীতের চেয়ে এখন ইসলামি দলগুলোর মধ্যে অনেক ঐক্যের আকুতি বেড়েছে। যার কারণে জোটে যাওয়ার একটা সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও ইসলামি দল নয়, কিন্তু এমন রাজনৈতিক দল, যারা আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যারা ছিলো, তাদের সঙ্গে জোটে যেতেও আমরা প্রস্তুত। আমরা নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট বিদায় করবো।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের ভিআইপি অডিটোরিয়ামে জামায়াতের সদস্য শিক্ষা শিবির আলোচনা সভার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আমরা কখনও চাইনা আওয়ামী লীগ নির্বাচনে আসুক। আমরা মনে করি, আওয়ামী লীগ একটি হত্যাকারী দল…তারা যেন কোনোভাবেই নির্বাচনে আসতে না পারে সে ব্যবস্থা করবো।
এসময় আওয়ামী লীগ নির্বাচনে আসতে পারবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা কখনও চাইনা আওয়ামী লীগ নির্বাচনে আসুক। আমরা মনে করি, আওয়ামী লীগ একটি হত্যাকারী দল। যে দলটির নেতারা পালানোর আগে এবং পাঁচ আগস্টের আগেও হেলিকপ্টার দিয়ে সাধারণ নিরীহ মানুষের ওপর অত্যাচার, নিপীড়ন চালিয়েছে। তারা যেন কোনোভাবেই নির্বাচনে আসতে না পারে সে ব্যবস্থা করবো।
অন্তর্বর্তী সরকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ড. ইউনুস ইচ্ছে করে এখানে আসেন নাই, তাকে জনগণ এনেছে। তার দায়িত্ব, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে চলে যাওয়া। আমাদের দেশে পার্লামেন্টারি ডেমোক্রেসি আছে। যারা নির্বাচিত হবে তারা দেশ পরিচালনা করবে। ফলে দীর্ঘ দিন উনি দেশ পরিচালনা করবেন, সেই উদ্দেশ্য নিয়ে তিনি আসেন নাই। তবে সমস্ত রাষ্ট্রের সংস্কার উনার পক্ষে সম্ভব নয়, তাহলে অনেক সময় লেগে যাবে।
এসময় রাষ্ট্রের সব অঙ্গ পচে গেছে মন্তব্য করে জামায়াত সেক্রেটারি বলেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য রাষ্ট্রযন্ত্রের মিনিমাম রিফর্ম, সংস্কার প্রয়োজন। গ্রামে যেমন বলে- সর্বাঙ্গে ঘা, ওষুধ লাগাবো কোথা! ঠিক তেমনি ১৮ বছরে রাষ্ট্রের সর্বাঙ্গে ক্ষত হয়ে পচে গেছে।