ইউরোতে স্পেন যখন একের পর এক জয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলো, গোটা দেশে ফুটবল হয়ে উঠেছে আলোচনার প্রধানতম উৎস। বড়-ছোট সব শহরের বাড়ির ছাদ, ব্যালকনিতে, পথের মোড়ে মোড়ে স্পেনের পতাকা উড়েছে। বিভিন্ন দোকান-বার-রেস্টুরেন্টে পতাকার পাশাপাশি শোভা পেয়েছে জাতীয় দলের জার্সি। ফাইনালের আগে পুরো স্পেন বুদ হয়ে ছিলো ফুটবলে।
১২ বছর পর ইউরোপ সেরা হলো স্পেন! বড়-ছোট নানা শহরেই বিভিন্ন পয়েন্টে বড় পর্দায় ফাইনাল দেখার আয়োজন ছিল। টিভি পর্দায় চোখ ছিল লাখো মানুষের। নিকো উইলিয়ামস ও মিকেল ওইয়ারসাবালের গোলে পর উল্লাস ভেসে আসে নানা প্রান্ত থেকে। ম্যাচ শেষে পথে নেমে যায় হাজারও মানুষ। উদযাপন চলতে থাকে রাতভর।
স্পেনের তরুণ সেনসেশন লামিনে ইয়ামালের জন্মস্থান কাতালুনিয়ার শহর মাতারোতে ছিল খেলা দেখার আয়োজন। লামিন ইয়ামালকে নিয়ে গর্বিত ছিলো পুরো স্পেন। সবার কাছে সে এখন অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
এই সাফল্যের বড় উদযাপন হয়েছে মাদ্রিদে। মঙ্গলবার দেশে ফিরেছে তারা। রাজধানী মাদ্রিদে ছাদখোলা বাসে হয়েছে বিশাল প্যারেড। ছাদখোলা বাসে শহর প্রদক্ষিণ করেছে চ্যাম্পিয়নরা। এরপর সিবেলেস প্যালেসেও ছিলো আয়োজন। পুরো স্পেন চ্যাম্পিয়নদের বরণ করে নিয়েছে সাদরে ।
রাজধানী মাদ্রিদে সবচেয়ে বড় জমায়েত ছিল কোলন স্কয়ারে, সব ধরনের উদযাপন সাধারণত এই আঙিনাতেই হয়। সেখানে সমর্থকেরা গলা ফাটিয়ে গেয়েছেন, ইয়েস ইয়েস দা কাপ ইজ হিয়ার…
এবারের ইউরোর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অসাধারণ ফুটবল উপহার দিয়ে টানা সাত জয়ে শিরোপা জয় করে স্পেন। প্রথম দল হিসেবে চারবার ইউরোতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার রেকর্ডও গড়ে তারা। এ যেন রেড ফিউরির নতুন সোনালী প্রজন্মের আগমনী বার্তা