বৃহস্পতিবার , ১৬ জুন ২০২২ | ২৩শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. London Mirror Specials
  2. অন্যান্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জেলার খবর
  9. ঢাকা
  10. তথ্য-প্রযুক্তি
  11. প্রবাসের কথা
  12. বরিশাল
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

ঋনের নামে হাজার কোটি টাকা পাচার ও জঙ্গি অর্থায়নে তিন পান্ডবের সিন্ডিকেট

প্রতিবেদক
Newsdesk
জুন ১৬, ২০২২ ৬:৩৩ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক: গরিবদুস্থ জনগনকে সেবার নাম করে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাটের নেপথ্যে  voluntary  organization for social development (VOSD)এবং আম্বালা ফাউন্ডেশনের প্রকৃত মালিক আবু  মোহাম্মদ সাইদুর রহমান, একেএম মোস্তাফিজুর রহমান এবং আরিফ শিকদারের কুতসিত পরিকল্পনার মাধ্যমে দরিদ্র মানুষকে পথে বসিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে এবং দেশে বিভিন্ন আর্থীক প্রতিষ্ঠানের মালিক হ্ওয়া থেকে হাজার হাজার একর জমির মালিকানা অভিযোগ  এসেছে বেশ কয়েকটি বেসরকারী সংস্থার বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে এসব সংস্থা দারিদ্র বিমোচনের নামে সরকারী বেসরকারী এবং বিদেশী দাতা সংস্থা থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋন নিয়ে বিদেশে টাকা পাচার সহ বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে বিএনপি জামাতের  কর্মকান্ডে অর্থায়ন করে যাচ্ছে।  খোজ নিয়ে জানাযায় এসব প্রতিষ্ঠানের পরিচালকরা নিরবে নিজেদের একটা বলয় তৈরী করে রাস্ট্র বিরোধী বিভিন্ন কর্মকান্ডে লিপ্ত।

আবু মোহাম্মদ সাইদুর রহমান

১, আবু মোহাম্মদ সাইদুর রহমান বর্তমানে একটি বেসরকারী ব্যাংকের পরিচালক হিসেবে রয়েছেন। এবং প্যানডামিক ফিশারিজ, সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স, এরআরবি লাইফ ইন্সুরেন্সসহ সতেরোটি প্রতিষ্ঠানের মালিক হিসেবে আছেন। তিনি একজন সরকারী সাবেক কর্মকর্তা হয়ে কিভাবে এত সম্পদের পাহাড় গড়লেন তা  সবার কাছে পুরোপুরি অষ্পষ্ট। যা আপনি অনুসন্ধান করে বের করতে পারেন। জানাযায় আবু মোহাম্মদ সাইদুর রহমান সরকারী বিভিন্ন দফতরে কর্মরত থাকাকালে নিজের প্রভাব খাটিয়ে তার আপন ভাগ্নে একেএম মোস্তাফিজুর রহমানকে  VOSD  নামের  একটি  এনজিও  তৈরী করে সিডর সহ বিভিন্ন  দূর্যোগের  সরকারী টাকা  VOSD কে দিয়েছেন। দু:স্থ  ও অসুস্থ দরিদ্র জনগনের সরকারী নিজস্ব প্রকল্পের টাকা VOSD  এবং আম্বালা ফাউন্ডেশনকে কাজ দিয়ে শতশত কোটি টাকা তছরুপ করার অভিযোগ ও প্রমান রয়েছে প্রতিবেদকের কাছে।

সাইদুর রহমানের দুই পুত্র অস্ট্রেলিয়া  এবং জার্মান প্রবাসী। জার্মান প্রবাসী ছেলে আবু  মোহাম্মদ তুষার ইকবালের নামে শতশত কোটি টাকা পাচারের মাধ্যমে এনআরবিসি ব্যাংকের পাচ শতাংশ অংশিদারিত্ব নিয়েছেন।  যার প্রমান রয়েছে প্রতিবেদকের কাছে।

   

তাছাড়া  পিকেএসএফ এর কাছ থেকে ঋন কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য অর্থ নেয়। পিকেএসএফকে  দৃশ্যমান রেখে সরকারী বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকল্প নিয়ে পিকেএসএফ এর মাধ্যমে কাজ দেখিয়ে বাকি টাকা লুটে নেয়। যার পরিমান   হাজার কোটি টাকার ওপরে বিভিন্ন নামে বেনামে হাতিয়ে নিয়ে দেশে বাইরে পাচার করে। উদাহরন স্বরুপ  সরকারী বিগত সময়ে  ন্যাশনাল নিউট্রেশন প্রজেক্ট (এনএনপি )  নন ফরমাল এডুকেশন প্রগ্রাম গ্রহন করে শতশত কোটি টাকা  হাতিয়ে নেয়। সারা দেশে প্রায় বাইশটি জেলায়  কার্যক্রমের কথা বললেও  কোথা্ও তাদের কার্যক্রমের তথ্য নেই।

সরকারী চাকুরী অবসর  গ্রহনের পর সাইদুর রহমান নিজেই  VOSDর চেয়ারম্যান  হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। দায়িত্ব পালনের সময় মারকেন্টাইল ব্যাংক, মেঘনা ব্যাংক, স্টান্ডার্ড এবং বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে হাজার কোটি টাকা ঋন নিয়েছেন। যে ঋনগুলো তাদের মালিকানাধীন VOSD র পিয়ন, চাপরাশী থেকে শুরু করে একজন প্রধান শিক্ষকের নামে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ঋনের টাকা উত্তোলন করে হাতিয়ে নিয়েছেন।

যা আজ পর্যন্ত পরিশোধীত হয়নি, বর্তমানে বিভিন্ন মামলা হয়ে বিচারাধীন প্রক্রিয়ায় রয়েছে। এছাড়া কুমিল্লা ইপিজেডে অবস্থিত রয়েল ডেনিম নামের একটি প্রতিষ্ঠান যার আগের মালিক ছিলো  মুক্তিযুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধে ফাসির আসামী মীর কাশেম আলীর সাথে সম্পৃক্তা থাকার কারনে কাশেম আলীর প্রতিষ্ঠান এখন নিজের নাম করে ঋনের নামে ইসলামী ব্যাংক থেকে  শতশত কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন, যা জনগনের আমানত। বর্তমানে সাইদুর রহমান রয়েল ডেনিমের চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন।

শুধু এই নয়, দুদকের  ও কয়েকটি অভিযোগ অনুসন্ধানের প্রক্রিয়ায় রয়েছে যার  স্মারক নাম্বারগুলো -০৪.০১.২৬০০.৭০২.০১.০০৮.১৮/২২৬ ,৫৭৭৯/)।সাইদুর রহমান সব জায়গায় বলে বেড়ান তিনি  বাংলাদেশ সরকারের একজন  সাবেক সচিব যার কোনো প্রমান এবং দলিল কোথা্ও পা্ওয়া যায়নি। এছাড়া্ও তিনি সাবেক সচিব এবং মন্ত্রী জনাব মহিউদ্দিন খান আলমগীরসহ সাবেক রাস্ট্রপতি এইচএম এরশাদকে জেলে খাটিয়েছেন বলেও মানুষকে ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।  নিজেকে মুক্তিযোদ্বা হিসেবে পরিচয় দিয়ে জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধুসহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নিয়েও  কটুক্তি করতে দ্বীধা করেন না। যার ভিডিওসহ দালিলিক প্রমান খোজ করলেই পা্ওয়া যাবে।

এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকে তদন্ত করলে  VOSD র বেনিফিশিয়ারী হিসেবে সাইদুর রহমান এবং মোস্তাফিজুর রহমানকে পাওয়া যাবে। এছাড়া,  বিভিন্ন ব্যাংকে VOSD র এ্যাকাউন্ট ওপেনিং ফর্ম এ তাদের স্বাক্ষর দালিলিক প্রমান পাওয়া যাবে।

এছাড়া অর্নীতা এগ্রোসহ  প্যানডামিকের সাথে সংশ্লিষ্ট সতেরোটি প্রতিষ্ঠানতৈরী করে  বরিশালের উজিরপুর উপজেলাসহ সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার একর জমির মালিক হয়েছেন। যার প্রকৃত মালিকরা এখন দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন বসতভিটা পাবার আশায়।  গরিবদূ:স্থ মানুষকে জিম্মি করে তাদের সম্পদ লুটে নেয়ার অত্যাচারের অভিযোগ ও রয়েছে।  এছাড়া শেয়ার বাজারে নামে বেনামে ম্যাক্সন স্পিনিং,ড্রাগন টেক্সটাইলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শেয়ার নিয়ে হাজার হাজার  নিরিহ বিনিয়োগকারীকে পথে বসিয়েছে। VOSD র লোন পরিশোধের নাম করে আম্বালা ফাউন্ডেশনের আরিফ শিকদারের কাছে ষাট লাখ শেয়ার ২৩ টাকা করে বক্রি করেছেন যার কোনো ধরনের কর পরিশোধ করেনী।

 

একেএম মোস্তাফিজুর রহমান

২, মোস্তাফিজুর রহমান। মোস্তাফিজুর রহমান পূর্ব বর্নীত সাইদুর রহমানের আপন ভাগ্নে। সাইদুর রহমান সরকারী কর্মকর্তা থাকাকালীন সময়ে নিজের প্রভাব খাটিয়ে তার আপন ভাগ্নে একেএম মোস্তাফিজুর রহমানকে  VOSD  নামের NGO  তৈরী করে সিডর সহ বিভিন্ন দূর্যোগের  সরকারী টাকা  VOSD কে দিয়েছেন। দু:স্থ  ও অসুস্থ দরিদ্র জনগনের সরকারী নিজস্ব প্রকল্পের টাকা VOSD  এবং আম্বালা ফাউন্ডেশনকে কাজ দিয়ে শতশত কোটি টাকা তছরুপ করেছেন এই  মোস্তাফিজুর রহমান। তাছাড়া সরকারী নিউট্রেশন প্রকল্পের (এনএনটি) সকল টাকা দরিদ্রদের সহায়তার কথা বলে শতশত কোটি টাকা তছরুপ করে বিদেশে পাচার করেছেন।

এছাড়া একজন অতিরিক্ত সচিবের ভগ্নিপতি হ্ওয়ায় প্রভাব খাটিয়ে এখনো VOSD র নামে অল্টারনেটিভ এডুকেশনের নাম দিয়ে শতশত কোটি সরকারী টাকা আত্মসাত করছেন। নিজে প্রবাসী হিসেবে পরিচয় পাবার জন্য বিদেশে তুরস্কের নাগরিকত্বসহ, আরব আমিরাত. মালদোভা , লাটভিয়া  এবং কয়েকটি দ্বীপরাস্ট্রের  রেসিডেন্ট  কার্ড নিয়েছেন। নিজের ভায়রা ফিরোজ হায়দার খানের নামে এনআরবিসি ব্যাংকের পাচ শতাংশ বেনামী মালিকানা নিয়েছেন। যে বিষয়ে এখনো দুদকের মামলা হিসেবে নথিভুক্ত রয়েছে।

এছাড়া পেনডামিক ফিসারিজসহ পেনডামিক নামধারী সকল প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে শতশত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন রয়েল ডেনিম নামের একটি প্রতিষ্ঠান যার আগের মালিক ছিলো  মুক্তিযুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধে ফাসির আসামী মীর কাশেম আলীর সাথে সম্পৃক্ত থাকার কারনে কাশেম আলীর প্রতিষ্ঠান এখন নিজের নামে করে ঋনের নামে ইসলামী ব্যাংক থেকে  ১৬৪ কোটি ৫৪ লাখ ৩৭ হাজার  টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন, যা জনগনের আমানত। মোস্তাফিজুর রহমান রয়েল ডেনিমের পরিচালক হিসেবে রয়েছেন।

রয়েল ডেনিমে  তাদের তাদের নিজেদের এলাকা হিসেবে পরিচিত বরিশালের উজিরপুরে খোজ নিলেই তাদের প্রকৃত চরিত্র সরকার  এবং মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি হিসেবে কাজ করে নিজেদের অবস্থান কতটা মজবুত করে রেখেছেন তার একটা প্রমান পা্ওয়া যাবে।  মোস্তাফিজুর রহমান আরেকটি বেসরকারী সংস্থা আম্বালা ফাউন্ডেশনের সাথে যুক্ত।

অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর রহমান এনআরবি ইসলামিক লাইফ ইন্সুরেন্স লিমিডেট এর ( ইসি চেয়ারম্যান), সোনালী লাইফ

ইন্সুরেন্স, এবং একটি বেসরকারী ব্যাংকের পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন। আপন ভায়রা ফিরোজ হায়দার খানের কাছ থেকে শেয়ার ট্রান্সফারের জন্য তথ্যাদি বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেয়ার কথা থাকল্ওে তা আজ পর্যন্ত দিতে পারেনী। যা মানি লন্ডারিং এর আরেকটি চিত্র। এছাড়া শেয়ার বাজারে নামে বেনামে ম্যাক্সন স্পিনিং,ড্রাগন টেক্সটাইলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শেয়ার নিয়ে হাজার হাজার  নিরিহ বিনিয়োগকারীকে পথে বসিয়েছে।  VOSD র লোন পরিশোধের নাম করে আম্বালা ফাউন্ডেশনের আরিফ শিকদারের কাছে ষাট লাখ শেয়ার ২৩ টাকা করে বিক্রি করেছেন যার কোনো ধরনের কর পরিশোধ করেনী।

পিকেএসএফকে  দৃশ্যমান রেখে সরকারী বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকল্প নিয়ে পিকেএসএফ এর মাধ্যমে কাজ দেখিয়ে বাকি টাকা লুটে নেয়। যার পরিমান  হাজার কোটি টাকা বিভিন্ন নামে বেনামে হাতিয়ে নিয়ে দেশে বাইরে পাচার করে। উদাহরন স্বরুপ  সরকারী বিগত সময়ে  ন্যাশনাল নিউট্রেশন প্রজেক্ট (এনএনপি )  নন ফরমাল এডুকেশন প্রগ্রাম গ্রহন করে শতশত কোটি টাকা  হাতিয়ে নেয়। সারা দেশে প্রায় বাইশটি জেলায়  কার্যক্রমের কথা বললেও  কোথাও তাদের কার্যক্রমের তথ্য নেই।

আরিফ শিকদার

৩. আরিফ শিকদার । ২০১৯ সালের  ৩ মার্চ গাজীপুরের কালিয়াকৈরে  আম্বালা ফাউন্ডেশন নামের এনজিওর  ঋণের কিস্তি কম দেয়ায়  আম্বালা ফাউন্ডেশনের  ম্যানেজার ও ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা অসহায় ঋণ গ্রহীতার কোটি টাকা মূল্যের মার্কেট জবর দখল করে সাইনবোর্ড টানিয়ে  দিয়ে মার্কেটটি জবরদখল করে নেয় আরিফ শিকদারের আম্বালা ফাউন্ডেশন।  সেই সময় এর প্রতিবাদ করলে  আম্বালা ফাউন্ডেশনের  সন্ত্রাসীদের হামলায় ঋণ গ্রহীতা মিনু বেগম, তার স্বামী হাজী ওসমান ও তার মা নুরজাহান বেগম মারাত্মক আহত হয়।

এ ঘটনায় ঋণ গ্রহীতার স্বামী হাজী ওসমান বাদী হয়ে গতকাল সকালে কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করার পরে পুলিশ সাগর হোসেন নামে এক সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করে।

আরিফ শিকদারের আম্বালার ঋনের ঋণের টাকা দিয়ে উপজেলার পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় একটি কুকারিজের ব্যবসা শুরু কর। এক মাস উনের টাকা দিতে না পারায় সুযোগ বুঝে ১০-১২ জনের একদল ভাড়াটে সন্ত্রাসী সঙ্গে নিয়ে উপজেলার চন্দ্রা ভাঙ্গা মসজিদ এলাকায় গ্রহীতার কোটি টাকা মূল্যের একটি মার্কেট জবর দখল করে।  যার প্রতিবেদন গুগলে সার্চ দিলে পা্ওয়া যাবে।

তাছাড়া গাজীপুরের শ্রীপুরের জৈনা বাজারের আম্বালা ফাউন্ডেশনের ফাঁদে পরে সর্বশান্ত হয়েছে অনেকেই।

অভিযোগ রয়েছে , গ্রাহকদের খালী চেক থাকার সুযোগ নিয়ে  জামিনদার দুই জনের নামে তাদের জমা রাখা খালি চেকে ৮ লাখ ২০ হাজার টাকা করে মোট ১৬ লাখ টাকা অংক বসিয়ে চেক ডিজঅনারের মামলা করেন  আরিফ শিকদারের আম্বালা ফাউন্ডেশন।

আম্বালা ফাউন্ডেশনের ঋণ গ্রহনকারী ফরিদা আক্তার জানান, তিন বছর মেয়াদি এই ঋণ পরিশোধের সময়সীমা রয়েছে।  তারা অন্যায়ভাবে আমাদের জমি মর্টগেজ দলিল না করে ব্যক্তির নামে পাওয়ার দলিল করে নিয়েছে। এমনভাবে এলাকার অনেক লোকের কাছ হতে জমি হাতিয়ে নিচ্ছে।  মামলায় এবং আমমোক্তারনামা দলিলে কোথাও ঋণের কথা উল্লেখ করা হয়নি।

অপর এক ঘটনায় মানিকগন্জ জেলার সাটুরিয়ায় ঋণের টাকা আদায়ের জন্য এক ঋণ গ্রহিতাকে সারাদিন এক কক্ষে আটকিয়ে শারীরিক নির্যাচনের অভিযোগ উঠেছে এনজিও আরিফ শিকদারের আম্বালা ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে। পরে ওই ঘটনায় পুলিশ ঋণ গৃহিতাকে উদ্ধার করে আম্বালা ফাউন্ডেশনের  দুই কর্মকর্তাসহ ৪ জনকে আটক করে।

ভুক্তভুগীরা জানায়  আম্বালা ফাউন্ডেশন থেকে ঋণ নিতে হলে তিনশত টাকা স্ট্যাম্প, ঋণ গ্রহিতা ও জমিনদাতার ৪ টি করে ব্লাংক চেক, জমির দলিল ও খারিজের কপি দিয়ে ঋণ দেন তারা। টাকা পরিশোধ করতে না পারায় বহু মানুষের জমি কেড়ে নেয় আম্বালা কতৃপক্ষ। এই নিয়ে আম্বালার নির্বাহ পরিচালক  আরিফ শিকদারের কাছে ধর্ণ দিলেও নিরীহ গ্রামবাসী দূর্ব্যবহার করে তাড়িয়ে দেয় আরিফ শিকদার। তাছাড়া  আম্বালার ফাউন্ডেশখনের মালিক আরিফ শিকদার নিজেকে  প্রধানমন্ত্রীর আত্বীয় পরিচয় দিয়ে এ অপকর্ম করে থাকেন।

এসব ঘটনায় ২০২১ সালের জুলাই মাসে আম্বাল চাপে আত্মহত্যার হুমকি দেয় দরিদ্র গাজীপুরের শ্রীপুরবাসী। সে সময় এক মানব বন্ধনে তারা জানায় সহজশর্তে উনের কথা বলে ঋনের ফাদে ফেলে অসহায়কে আরো সর্বশান্ত করছে আম্বালা ফাউন্ডেশন।

মুলত  নিজেদের অলাভজনক এবং অরাজনৈতিক সংস্থা পরিচয় দিয়ে  তাদের দেয়া বক্তব্য অনুযায়ী  ১৯৯৪ সাল থেকে ক্ষুদ্রঋণ, মানবাধিকার, স্বাস্থ্য, শিক্ষার নামে  বাংলাদেশের মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু আম্বালা। এমআরএ অনুমোদিত ও পিকেএসএফসহ বিভিন্ন ব্যাংকের অর্থায়নে বর্তমানে ১২১টি শাখা কার্যালয়ের মাধ্যমে  তারা ক্ষুদ্রঋনের নামে কাজ করে।

ট্রাষ্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান সাবেক সচিব আজিজুর রহমান হলেও এর মূল কারিগর আরিফ শিকদার। খোজ নিয়ে জানাযায় নির্বাহী পরিচালক আরিফ শিকদার মুলত এনজিওর সাইনবোর্ড ব্যবহার করে সারাদেশে সে একটি নেটওয়ার্ক স্থাপন করতে চায়। যেই নেটওয়ার্ক আরেকটি বিলুপ্তপ্রায় প্রশিকার মত একটি এনজিও স্থাপন করে রাজনীতিতে প্রভাব রাখার মন বাসনা পোষণ করে আসছে। যার কারনে ট্রাস্টি হিসেবে একজন সাবেক আমলাকে বেছে নেয় আরিফ শিকদার। এনজিও ব্যবসা ক্ষুদ্র ঋন দিয়ে দারিদ্র বিমোচনের নাম করে দেশের প্রান্তিক মানসুষকে সর্বশান্ত করে নিজের প্রভাব প্রতিপত্তির বাড়ানোই যার নেশা।

সাটুরিয়ায় গ্রেফতার হওয়া আম্বালা ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা  পুলিশকে জানায়  আম্বালা ফাউন্ডেশনের নামে সংগ্রহ করা  টাকা কোথা যায় তারা সেটা জানেনা । ক্ষুদ্র ঋনের কথা বলে দেশে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে যে পরিমান ঋন আম্বালা গ্রহন করে তার খুব ছিটেফোটাই প্রান্তিক মানুষের কাছে বন্টন করে আম্বালা ফাউন্ডেশন। বেশিরভাগ টাকা চলে যায় দেশের বাইরে।

এছাড়া  আম্বালা ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ব্যাংক, এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক,এনসিসি ব্যাংক,এনআরবিসি ব্যাংক,ইউসিবি ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, এবি ব্যাংক,যমুনা ব্যাংক, দ্যা ইউএই বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানী,এ নআরবি ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, স্টান্ডার্ড ব্যাংক, ফনিক্স ফাইনান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লি.,মিচুয়ালট্রাস্ট,বিডি ফাইনান্স,সাউথইস্ট ব্যাংক, উত্তরা ফাইনান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট কর্পরেশন,ওয়ান ব্যাংক,হজ্ব ফাইনান্স কোম্পানী,মিডল্যান্ড ব্যাংক,ইন্ডাস্ট্রীয়াল এন্ড ইফাকস্ট্রাকচার ডেভেলেপমেন্ট কোম্পানী, এক্সিম ব্যাংক,পিকেএসএফ এর সাথে শুধু টাকা নিয়ে দারিদ্র বিমোচনের কথা বলে টাকা আদায় করে।

মূলত আম্বালা ফাউন্ডেশনের নাম করে আরিফ শিকদার এক জায়গা থেকে টাকা নিয়ে আরেক জায়গায় শোধ করে দুই   তিনটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পুরো টাকা তছরুপ করে বিদেশে পাচার করে।

সব আর্থিক সংস্থা একসাথে কখনোই টাকা চাইবেনা জেনে সুকৌশলে শতশত কোটি টাকা সরিয়ে নিয়েছে আরিফ শিকদার। দুদক বা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে হিসেব চাইলে কখনোই হিসেব দিতে পারবেনা বলে জানায় আম্বালা ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা।

এছাড়া নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি জামাতকে গোপনে আর্থিক সহায়তা করছে আম্বালা ফাউন্ডেশন। মুন্সি জেলার প্রভাবশাল হিসেবেই নিজেকে প্রতিষ্ঠা করছেন আরিফ শিকদার। সরকার দলে প্রার্থীতা না পেলে বিএনপি জামাতের প্রার্থী হবার পথ সুগম করছে আরিফ শিকদার। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোতে আরিফ শিকদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ হলেও টাকা দিয়ে সব ম্যানেজ করছে আরিফ শিকদার। আরিফ শিকদার বর্মানে এনআরবি ইসলামিক লাইফ ইন্সুরেন্সের পরিচালক,এরআরবিসি ব্যাংকের দুই শতাংশ শেয়ারের মালিক এবং বেনামে সাইদুর রহমান এবং মোস্তাফিজুর রহমানের  সকল ব্যবসার ব্যবসায়ীক পাটনার।

পিকেএসএফকে  দৃশ্যমান রেখে সরকারী বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকল্প নিয়ে পিকেএসএফ এর মাধ্যমে কাজ দেখিয়ে বাকি টাকা লুটে নেয়। যার পরিমান  হাজার কোটি টাকা বিভিন্ন নামে বেনামে হাতিয়ে নিয়ে দেশে বাইরে পাচার করে। উদাহরন স্বরুপ  সরকারী বিগত সময়ে  ন্যাশনাল নিউট্রেশন প্রজেক্ট (এনএনপি )  নন ফরমাল এডুকেশন প্রগ্রাম গ্রহন করে শতশত কোটি টাকা  হাতিয়ে নেয়। সারা দেশে প্রায় বাইশটি জেলায়  কার্যক্রমের কথা বললেও  কোথা্ও তাদের কার্যক্রমের তথ্য নেই।

এই আরিফ শিকদারের আম্বালা ফাউন্ডেশন পিকেএসএফ থেকে মাঠ পর্যায়ের কাজের জন্য প্রায় হাজার কোটি টাকাৱ  উত্তলন করলে ও মাঠ পর্যায়ের এই টাকার কোনো হদিস নেই। আম্বালা ফাউন্ডেশনে অভিযান চালিয়ে তাদের নথি জব্দ করলেই টাকা পাচারের তথ্য পা্ওয়া যাবে।

অতএব মহোদয়ের কাছে বিনীত নিবেদন, এই দু:স্থ গরিব প্রান্তিকসহ সাধারন আমানতকারী এবঙ বিনিয়োগকারীদের পথে বিসয়ে দেয়ার নেপথ্যে এই চিত্রের কুখ্যাত নায়ক সাইদুর রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান এবং আরিফ শিকদারের বিষয়ে  তদন্ত করে  পাচারকৃত দেশে হাজার হাজার কোটি টাকা উদ্ধার করাসহ তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনে আজ্ঞাহয়।

এইসব অভিযোগ নিয়ে সাইদুর রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান এবং আরিফ শিকদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা এ বিষয়ে কথা বলতে রাজী হননি। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের মূখপাত্র সিরাজুল ইসলাম জানান আম্বালা ফাউন্ডেশন, ভিওএসডি নিয়ে এমন অভিযোগ আগে তাদের হাতে আসেনী বলে বিষয়গুলো নিয়ে তাদের তেমন কোনো ধারনা নেই। তবে অর্থপাচার, দূর্ণীতি এবং জঙ্গি অর্থায়নের বিষয়টা সামনে আসাতে বিষয়গুলো  কেন্দ্রীয় ব্যাংক তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে বলে জানান মি. সিরাজ।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক