শেষ হচ্ছে দীর্ঘ অপেক্ষা। অবশেষে বাড়ি ফিরছেন ২৩ নাবিক। আজ মঙ্গলবার (১৪ মে) নিজ নিজ পরিবারের কাছে ফিরছেন সোমালীয় জলদস্যুদের জিম্মি দশা থেকে মুক্ত এই নাবিকরা। অবসান হচ্ছে তাদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার।
এদিকে, জিম্মি নাবিকদের দেশে ফেরার খবরে নাবিকদের পরিবারেও খুশির জোয়ার। সবাই তাদেরকে বরণের অপেক্ষায়। এতোদিন কাটানো নির্ঘুম রাত, চরম আতঙ্কে কাটানো কষ্টের দিনগুলো ভুলে স্বজনদের মুখে ফুটেছে হাসি।
জানা গেছে, নাবিকদের নিয়ে ‘এমভি আবদুল্লাহ’ জাহাজটি কুতুবদিয়া বহির্নোঙরে ভিড়েছে গতকাল বিকালে। সেখানে চলছে চুনাপাথর খালাস কার্যক্রম।
তবে, আজ সকালে কুতুবদিয়া থেকে ২৩ নাবিককে নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে ‘এমভি জাহান মনি-৩’ নামে একই কোম্পানির আরেকটি জাহাজ। দুপুরের পর যেকোনো সময় চট্টগ্রাম বন্দর এনসিটিতে পৌঁছাবেন নাবিকরা।
সেখানে তাদের বরণ করে নেবে পরিবার ও স্বজনরা। এনসিটিতে নাবিকদের সংবর্ধনা দেবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এরপর আনুষ্ঠানিকতা শেষে নাবিকরা স্বজনদের সঙ্গে বিভিন্ন জেলায় যে যার বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেবেন।
উদ্ধার হওয়া এই ২৩ জন হচ্ছেন, জাহাজের মাস্টার মোহাম্মদ আবদুর রশিদ, চিফ অফিসার মো. আতিক উল্লাহ খান, সেকেন্ড অফিসার মোজাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, থার্ড অফিসার এন মোহাম্মদ তারেকুল ইসলাম, ডেক ক্যাডেট মো. সাব্বির হোসাইন, চিফ ইঞ্জিনিয়ার এএসএম সাইদুজ্জামান, সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. তৌফিকুল ইসলাম, থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. রোকন উদ্দিন, ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার তানভীর আহমেদ, ইঞ্জিন ক্যাডেট আইয়ুব খান, ইলেকট্রিশিয়ান ইব্রাহীম খলিল উল্লাহ, এবি পদের মোহাম্মদ আনোয়ারুল হক, মো. আসিফুর রহমান, মো. সাজ্জাদ হোসাইন, জয় মাহমুদ, ওএস পদের মো. নাজমুল হক, অয়েলার পদের আইনুল হক, মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, মো. আলী হোসেন, ফায়ারম্যান মোশাররফ হোসেন শাকিল, চিফ কুক মো. শফিকুল ইসলাম, জিএস পদের মোহাম্মদ নুর উদ্দিন ও ফিটার মোহাম্মদ সালেহ আহমদ।
উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি সোমালীয় জলদস্যুদের কবলে পড়ে। ৩২ দিন পর ১৩ এপ্রিল মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়ে দুবাই হয়ে অবশেষে চট্টগ্রাম ফিরেছে জাহাজটি।