ভাড়াটে ওয়াগনার গ্রুপের বিদ্রোহী নেতাদের অভিযুক্ত করে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ‘তারা রাশিয়াকে রক্তাক্ত সংঘর্ষে জর্জরিত দেখতে চান’।
সোমবার (২৬ জুন) জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া এক টেলিভিশন ভাষণে ওয়াগনার গ্রুপের বিদ্রোহের প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘বিদ্রোহের সংগঠকদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
বিদ্রোহ নয়, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সরকার এবং তার সেনার আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে পথে নেমেছিল ওয়াগনার বাহিনী। পুতিনের চাপের মুখে ২৪ ঘণ্টার নাটকীয় সশস্ত্র বিদ্রোহের অবসানের পর প্রথমবারের মতো মুখ খুলেছেন রাশিয়ার ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন।
যদিও এসময় পুতিন সরাসরি ওয়াগনার প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের নাম উল্লেখে করেননি।
তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বাহিনীটির নিয়মিত সৈন্যদের ‘দেশপ্রেমিক’ বলে অভিহিত করেছিলেন। তিনি বলেছেন নিয়মিত সেনারা রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে যোগদান করতে, বেলারুশে যেতে বা নিজ দেশে ফিরে যেতে পারবেন।
রুশ কর্তৃপক্ষ আগামী ১ জুলাই থেকে ওয়াগনার গ্রুপকে বন্ধ করে দিয়ে এর সৈন্যদের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা করেছিল। প্রিগোজিন বলছেন, তার গ্রুপ এর বিরোধী ছিল এবং কমান্ডাররা কেউই মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কোনো চুক্তিতে সই করতে রাজি হননি।
ওইসময়ে তিনি ইউক্রেনের যুদ্ধের বিষয়ে রুশ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের সমালোচনাও করেছিলেন। কিন্তু তিনি জোর দিয়েছিলেন যে, ওয়াগনার সবসময় এবং শুধুমাত্র রাশিয়ার স্বার্থে কাজ করেছে।
জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে পুতিন বলেন, ‘আমি ওয়াগনার গ্রুপের সেই সৈন্য এবং কমান্ডারদের ধন্যবাদ জানাই যারা একমাত্র সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ’
ওয়াগনার সেনাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘যারা চান তারা বেলারুশ চলে যেতে পারেন। আমি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, তা পূরণ করা হবে। ’
পুতিন বলেন, ‘রক্তপাত এড়াতে বিদ্রোহের শুরুতেই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। সংগঠকরা বুঝেছিলেন যে তাদের কাজগুলো অপরাধমূলক। ’