মঙ্গলবার , ২ জুলাই ২০২৪ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. London Mirror Specials
  2. অন্যান্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জেলার খবর
  9. ঢাকা
  10. তথ্য-প্রযুক্তি
  11. প্রবাসের কথা
  12. বরিশাল
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

কঠোর আন্দোলনে কোটা বিরোধীরা দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা

প্রতিবেদক
Newsdesk
জুলাই ২, ২০২৪ ৬:২১ অপরাহ্ণ

 সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহাল সংক্রান্ত রায়ের প্রতিবাদ এবং ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল রাখার দাবিতে বুধবার (৩ জুলাই) অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বরে এ ঘোষণা দেন তারা।

এর আগে দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে পদযাত্রা করেন শিক্ষার্থীরা।পদযাত্রাটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি থেকে মাস্টার দা সূর্যসেন হল, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল, নীলক্ষেত, ঢাকা কলেজ, সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়, এলিফ্যান্ট রোড হয়ে শাহবাগে এসে থামে।

সেখানে এক ঘণ্টার মতো অবস্থান করেন তারা। এ সময় শাহবাগ মোড় দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে একটি মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামালের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা।

এ সময় তারা ’১৮ এর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ’১৮ এর পরিপত্র, বহাল করতে হবে’, ’সংবিধানের মূলকথা, সুযোগের সমতা’সহ নানা স্লোগান দেন।

স্লোগানে ‘কোটা না মেধা?’ প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষার্থীরা সমস্বরে ‘মেধা, মেধা’ স্লোগান দেন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, এটি একটি বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা। তারা আজকে পদযাত্রা করেছেন। বুধবার দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে একই দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হবে। দিন দিন এ আন্দোলনে অংশগ্রহণ বাড়ছে বলে দাবি তাদের।

আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক নাহিদ হাসান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর মুক্তিযোদ্ধা কোটা এক কথা নয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাংলাদেশের সব মানুষের হৃদয়ে। আর মুক্তিযোদ্ধা কোটা বৈষম্যমূলক। এটি বাতিল করে ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল করতে হবে।

আন্দোলনরত ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন বলেন, কোটার মাধ্যমে বৈষম্য এবারই প্রথম নয়। ১৯৮৭ সালে বলা হয়েছিল কোটা ধীরে ধীরে উঠে যাবে। কিন্তু ১৯৯৭ সালে আমরা দেখেছি কোটায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের স্থানে নাতি-নাতনীদেরও যুক্ত করা হয়।

তিনি বলেন, কোটার মাধ্যমে বিভিন্ন সময় জঘন্য বৈষম্য আমরা দেখেছি। এমনও হয়েছে বিসিএস পরীক্ষায় ২০০তম হয়েও কেউ ক্যাডার পায়নি, অথচ ৫ হাজারতম হয়ে কোটায় অ্যাডমিন ক্যাডার পেয়ে গেছে। কোটাধারী না থাকলে আসনগুলো শূন্য থেকেছে, তবুও সাধারণ শিক্ষার্থীরা পায়নি। এ ধরনের বৈষম্য বাদ দিয়ে ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহাল করতে হবে।

হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মুরাদ মন্ডল বাংলানিউজকে বলেন, যারা বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে এদেশ স্বাধীন করলেন, সেই স্বাধীন দেশে তাদের সন্তানদের কাছে বৈষম্যের শিকার আমরা। এ বৈষম্য কোনোভাবেই মেনে নেব না। ২০১৮ সালের পরিপত্রটি পুনর্বহাল করেই এ আন্দোলন থামবে।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক