বৃহস্পতিবার , ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. London Mirror Specials
  2. অন্যান্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জেলার খবর
  9. ঢাকা
  10. তথ্য-প্রযুক্তি
  11. প্রবাসের কথা
  12. বরিশাল
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

কারারক্ষী-কয়েদির অনৈতিক সম্পর্ক , হাজতিকে নির্যাতনের অভিযোগ

প্রতিবেদক
Newsdesk
এপ্রিল ১৮, ২০২৪ ৮:২৪ অপরাহ্ণ

কারাগারের ভেতরে নারী কয়েদির সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক দেখে ফেলায় এক নারী হাজতিকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে গাইবান্ধা জেলা কারাগারের প্রধান কারারক্ষী আশরাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিষয়টি গণমাধ্যম কর্মীদের নজরে আসে।

এর আগে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) অভিযুক্তের বিচার চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীর মা করিমন নেছা।

ভুক্তভোগী ওই নারী পাঁচ বছর ধরে মাদক মামলায় গাইবান্ধা হাজতে রয়েছেন।

অভিযোগে ভুক্তভোগীর মা উল্লেখ করেন, কিছুদিন আগে গাইবান্ধা জেলা কারাগারে কর্মরত প্রধান কারারক্ষী আশরাফুল ইসলাম ও এক নারী কয়েদির (রাইটার) অনৈতিক কর্মকাণ্ড দেখে ফেলেন তার মেয়ে। এতে আশরাফুল ও নারী কয়েদি তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং এ ঘটনা কাউকে বললে হত্যা করে হৃদরোগে মৃত্যু হয়েছে বলে চালিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন।

ভুক্তভোগী বিষয়টি কাউকে জানাবে না বলার পরও তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়।

অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, করিমন নেছা একাধিকবার মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে গাইবান্ধা কারাগারে গেলেও মেয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে দেওয়া হয়নি। অবশেষে তার মেয়ে গাইবান্ধা আদালতে হাজিরার তারিখে গেলে সাক্ষাৎ পান করিমন নেছা। এরপর মায়ের কাছে কারাগারের ঘটনার বিবরণ দেন।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে গাইবান্ধা জেলা কারাগারের প্রধান কারারক্ষী আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমি এর সঙ্গে জড়িত না। তাছাড়া কারাগারের নারী ওয়ার্ডে কোনো পুরুষ কারারক্ষীর ডিউটিই থাকে না। সেখানে পুরুষদের প্রবেশ কোনোভাবেই সম্ভব না। কিন্তু আমার নাম কেন আসছে তা জানি না।

এ ব্যাপারে গাইবান্ধা কারাগারের জেলসুপার জাভেদ মেহেদী বলেন, বিষয়টি নিয়ে এডিসি মহোদয় তদন্তে এসেছিলেন। ঘটনায় জড়িত প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

গাইবান্ধার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিসি) মো. মশিউর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়ে গতকাল বিষয়টি তদন্ত করেছি। খুব দ্রুত জেলা প্রশাসকের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেব। এর পরেই জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন জেলা প্রশাসন।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক

আপনার জন্য নির্বাচিত