রবিবার , ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. London Mirror Specials
  2. অন্যান্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জেলার খবর
  9. ঢাকা
  10. তথ্য-প্রযুক্তি
  11. প্রবাসের কথা
  12. বরিশাল
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

কোনো মামলায় রজনীতিকরা পার পায় না, সরকারি কর্মকর্তারা কী করে পার পায়?

প্রতিবেদক
Newsdesk
ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৪ ৯:৫৬ অপরাহ্ণ

যে কোনো মামলা হলে রজনীতিবিদরা পার পায় না অথচ ১০ কোটি টাকার অনিয়ম করার পর এক জন সরকারি অফিসারকে বাঁচানোর জন্য সরকারি বিধিমালা চরম লঙ্ঘন কি করে হয় তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জাতীয় সংসদেও বিরোধী দলের চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু।

রোববার(১১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে একটি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন তুলে ধরে দেওয়া বক্তব্যে মুজিবুল হক চুন্নু এক প্রশ্ন করেন।

পত্রিকার প্রতিবেদনটি উল্লেখ করে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, নিউরোলজি সাইন্সের বিল্ডিং নির্মাণ এবং জয়েন্ট ভেঞ্চারে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে আইটির কাজ পান জি কে শামীম। যখন জি কে শামীম গ্রেফতার হয় তখন কাজের বিষয়ে অনেক সমালোচনা হয়, তদন্ত হয়। একজন অতিরিক্ত সচিব তদন্ত করে বলেছেন জিকে শামীমকে ১০ কোটি টাকা অগ্রিম দেওয়া হয়েছে। মানে কাজের যা বিল তার থেকে আরও ১০ কোটি টাকা বেশি দেওয়া হয়েছে, কেন দেওয়া হয়েছে এর কোনো কারণ নই।

তদন্তে বেরিয়ে আসলো জিকে শামীমের দুইটি কাজেই ডিফল্ট আছে। ঠিকাদারের যে শর্ত সেই শর্ত বরখেলাপ করা হয়েছে, এতে জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার কথা। কিন্তু তা না করে সরকারের পাবলিক প্রকিউরমেন্ট এবং সরকারি ক্রয় বিধিমালা অনুযায়ী দুইটি পৃথক কাজই জিকে শামীমের কাছেই থাকে। তার ১০ কোটি টাকা যে কাজে অগ্রিম দেওয়া হয়েছে এই টাকাটা সমন্বয় করার জন্য আরেকটা জয়েন্ট ভেঞ্চার করে, সেই জয়েন্ট ভেঞ্চারের কাজের পাওনা হিসেবে ১০ কোটি টাকা সমন্বয় করা হয়।

এটা আইনের চরম লঙ্ঘন। কারণ তার ওই কাজের কারণে এই টাকা বাজেয়াপ্ত হবে সরকারের খাতে, কিন্তু টাকা বাজেয়াপ্ত না করে এক জন অফিসারকে বাঁচানোর জন্য সমস্ত নিয়মকানুন উপেক্ষা করে- লঙ্ঘন করে সেই ১০ কোটি টাকা সমন্বয় করা হয়েছে।

চুন্নু বলেন, আমরা রাজনীতিবিদ যে কোনো বিষয়ে একটা মামলা হলে পার পাই না, এক জন সরকারি অফিসার ১০ কোটি টাকা অগ্রিম দিলো আর তাকে বাঁচানোর জন্য সমস্ত সরকারের পাবলিক প্রকিউরমেন্ট, রুলস, সরকারি ক্রয় বিধিমালা চরম লঙ্ঘন করে তাকে বাঁচানো হলো।

তিনি আরও বলেন, আমি পূর্তমন্ত্রী মহোদয়, যিনি ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন দুর্নীতির বিষয়ে তিনি জিরো টলারেন্স দেখাবেন; আমি আপনার(স্পিকার) মাধ্যমে উনার(মন্ত্রী) দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলবো, একজন সচিব কি করে এতো বড় একটা বিষয়কে উপেক্ষা করেন, মন্ত্রীর অনুমোদন লাগে নাই, মন্ত্রী অনুমোদন ছাড়াই এই কাজটা করেছেন। কিন্তু শাস্তি হিসেবে শুধুমাত্র তার বেতন এক গ্রেড নিচে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ একই কাজের জন্য আর একটা ঘটনায় একজন তত্ত্বাবধায়ককে ডিমোশন দেওয়া হয়েছে।

এই সরকারের আমলে কি ভাবে এতো বড় একটা অন্যায় কাজ করে পার পেয়ে যাবে, আমরা এটা চেয়ে চেয়ে দেখবো এটা কি হয়। মন্ত্রীকে বলবো বিড়াল প্রথমেই মারেন, এখনই একটা অ্যাকশন নেন, আশা করি ব্যবস্থা নেবেন।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক