করোনাভাইরাসের টিকার প্রযুক্তি আবিষ্কার করে এবছর দুই বিজ্ঞানী চিকিৎসায় নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। নোবেল বিজয়ী দুই বিজ্ঞানী হলেন- ক্যাটালিন ক্যারিকো ও ড্রু ওয়েইসম্যান।
সুইডেনের নোবেল অ্যাসেমব্লি অ্যাট ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট সোমবার তাদের নাম ঘোষণা করে।
নোবেল পুরস্কার কমিটি বলেছে, বর্তমান সময়ে মানবস্বাস্থ্যের ওপর সবচেয়ে বড় হুমকির সময় এই দুই পুরস্কার বিজয়ী টিকা তৈরির ক্ষেত্রে অবিশ্বাস্য রকম অবদান রেখেছেন।
কাট্যালিন হাঙ্গেরিয়ান-মার্কিন বিজ্ঞানী এবং ড্র ওয়েইসম্যান মার্কিন চিকিৎসক ও বিজ্ঞানী।
কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে এমআরএনএ টিকার বিকাশে সহায়ক নিউক্লিওসাইড বেস পরিবর্তন আবিষ্কারে এই পুরস্কার পেলেন তারা। এমআরএনএ করোনার টিকার প্রযুক্তি করোনাভাইরাসের মহামারি শুরুর আগে পরীক্ষামূলক অবস্থায় ছিলো। তবে এ টিকা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের প্রাণ রক্ষা করেছে। এখন ঠিক একই ধরনের এমআরএনএ প্রযুক্তি ক্যানসারসহ অন্য নানা রোগের টিকা আবিষ্কারের গবেষণার কাজে লাগানো হচ্ছে।
ক্যারিকো ও ওয়েইসম্যান ১৯৯০–এর দশকের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়ায় প্রথম একত্রে কাজ করতে শুরু করেন।
মর্ডানা ও ফাইজার/বায়োএনটেকের করোনার টিকা এমআরএনএ প্রযুক্তিতে তৈরি। প্রথাগত টিকাগুলো রোগ সৃষ্টিকারী ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার মৃত বা দুর্বল অংশ দিয়ে তৈরি। এর বিপরীত এক ধারায় এমআরএনএ প্রযুক্তিতে টিকা তৈরি হয়।
ক্যারিকো ও ওয়েইসম্যান ২০০৫ সালে তাদের গবেষণার ফল প্রকাশ করেন। নোবেল কমিটি বলেছে, এভাবেই তারা করোনার টিকার ভিত্তি প্রস্তুত করেছিলেন।
বিজ্ঞান, সাহিত্য ও শান্তিতে বিশেষ অবদানের জন্য ছয়টি ক্যাটাগরিতে প্রতি বছর নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। প্রতিবছর চিকিৎসা বিজ্ঞান ক্যাটাগরি দিয়ে জয়ীদের নাম ঘোষণা শুরু করে নোবেল কমিটি। নোবেল শান্তি পুরস্কার ঘোষণা হয় নরওয়ে থেকে। সাহিত্য ও অর্থনীতির মতো অন্য পুরস্কারগুলো সুইডেন থেকে ঘোষণা করা হয়।
১৯০৫ সালে নোবেল পুরস্কার প্রদান শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত চিকিৎসা ক্ষেত্রে ১০৯ বার নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। তবে কমিটি বরাবরই পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের নাম-পরিচয় গোপন রেখে আসছে।