খাগড়াছড়িতে কয়েকদিনের টানা ভারী বর্ষণে সব কয়টি নদীর পানি বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে পাহাড় ধসের আশঙ্কা। এরই মধ্যে জেলা-উপজেলার সংযোগ সড়কের কোথাও কোথাও পাহাড় ধসের খবর আসতে শুরু করেছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে মানুষ সরিয়ে নিতে ইতিমধ্যে উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। এরপরও ঝুঁকিয়ে পাহাড়ের গায়ে থেকে যাচ্ছেন অনেকেই।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জেলা শহরের শালবন-খাগড়াপুর, কুমিল্লা টিলা, সবুজবাগসহ যেসব এলাকায় পাহাড় কেটে বসতবাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে; সেসব এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ বসতি থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে প্রশাসন এবং পৌরসভার পক্ষ সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে জরুরি মাইকিংয়ের পরও কিছু বাসিন্দারা ঝুঁকি নিয়ে এলাকায় অবস্থান করছেন।
স্থানীয়রা বলছেন, প্রতি বছর বর্ষা এলে তাদের ঝুঁকি ও আতঙ্ক নিয়ে বসবাস করতে হয়। সরকার তাদের জন্য স্থায়ী কোনো সমাধান না করায় বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন।
তারা জানান, হঠাৎ অবিরাম বৃষ্টির ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। ঘরবাড়ি ছেড়ে গেলে গবাদিপশু- ক্ষেত-খামারগুলোও অরক্ষিত হয়ে যায়। তাই বাধ্য হয়েই প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে বাস করতে হচ্ছে।

খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা রাজেস বড়ুয়া বলেন, টানা বর্ষণের ফলে চেঙ্গী নদীর পানি বাড়লে অনেকে নদীতে ভেসে আসা লাকড়ি সংগ্রহ করতে যান। এতে প্রাণহানির শঙ্কা থাকে। অতীতেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। তাই চেঙ্গী নদীর পানিতে লাকড়ি না ধরা ও নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হয়েছে।
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান জানিয়েছেন, ঝুঁকির আশঙ্কায় জেলা শহরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং কমিউনিটি সেন্টার মিলে ১০টি এবং প্রত্যেক উপজেলায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ইউএনওদের এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া যারা আশ্রয় কেন্দ্রে যাবেন তাদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।












The Custom Facebook Feed plugin