মঙ্গলবার , ১৮ জুলাই ২০২৩ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. London Mirror Specials
  2. অন্যান্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জেলার খবর
  9. ঢাকা
  10. তথ্য-প্রযুক্তি
  11. প্রবাসের কথা
  12. বরিশাল
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

খাগড়াছড়িতে বিএনপির কার্যলয়ে আ.লীগের হামলা, সংঘর্ষে আহত শতাধিক

প্রতিবেদক
Newsdesk
জুলাই ১৮, ২০২৩ ২:৫৫ অপরাহ্ণ

খাগড়াছড়িতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে পুলিশরাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ছে। সংঘর্ষে উভয়ের অন্তত শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এ সময় ৮টি মোটর সাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পৌরসভা ভবনে ব্যাপক ভাংচুর করা হয়। ৩ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে চলা এ তাণ্ডবে পুলিশ ছিল নিস্ত্রিয়। শহরের ভাংগা ব্রীজ থেকে শাপলা চত্বর পর্যন্ত বিএনপির নেতাকর্মীরা দখল করে রেখেছে।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমএন আফসার অভিযোগ করেন, পদযাত্রা কর্মসূচির প্রস্তুতির সময় সকাল সোয়া ১০টার দিকে খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির অফিসে আওয়ামী লীগের নেতকর্মীরা হামলা চালায়। এতে বেশ বিএনপির নেতা হোসেন মো. বাবুসহ বেশ কয়েক বিএনপির নেতাকর্মী আহত হয়।

পরে বিএনপির নেতাকর্মী সংঘবদ্ধ হয়ে আওয়ামী লীগের অফিসে হামলা চালালে জেলা আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক নরুল আজমসহ বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী আহত হয়।এরপর পুরো শহরে ৩ ঘণ্টা ধরে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা ৮টি মোটর সাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়। হামলা চালিয়ে পৌরসভা ভবনে ব্যাপক ভাংচুর করা হয়। সংঘর্ষ চলাকালে হামলায় উভয়পক্ষ বাঁশ-লাঠি ও লোহার রড ব্যবহার করে। দীর্ঘ ৩ ঘণ্টা ধরে শহরে চলা এ সংর্ঘষে পুলিশ ছিল নিরব দর্শকের ভূমিকায়।

এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলছে। পরে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়া শুরু করে। এ পর্যন্ত উভয়ের অন্তত শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় উপজেলা শহরেথমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।শহরে যানবাহন চলাচল ও ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।

খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিএনপি আমাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচিতে এসে হামলা করেছে। এতে আমাদের ৫০ এর বেশি নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তবে এ সময় সংঘর্ষ থামানোর জন্য পুলিশের সহায়তা চাইলে পুলিশ নিস্ক্রিয় ভূমিকা পালন করে। আমি পুলিশ সুপার ও জেলাপ্রশাসককে একাধিকবার ফোন করেছি। কিন্তু প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

 

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক

আপনার জন্য নির্বাচিত