বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে নিয়ে খাবারের মধ্যে নানা রকমের ওষুধ দিয়ে অসুস্থ করা হয়েছে। উদ্দেশ্য হলো, তাকে তিলে তিলে শেষ করা।
সোমবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি জন্য মিলাদ মাহফিলে এসব কথা বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, যে নেত্রীকে দেখলাম পায়ে হেঁটে কারাগারে ঢুকলেন, সেই নেই বের হলে হুইল চেয়ারে। আজকে তিনি একের পর এক রোগাক্রান্ত, একের পর এক অসুস্থতায় তিনি ভুগছেন। এটার অন্য কোনো কারণ নেই। এটার নতুন করে অন্য কোনো ব্যাখ্যার প্রয়োজন পড়ে না। খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে শেষ করার জন্য কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাকে খাবারের মধ্যে নানা ধরনের ওষুধ দিয়ে নানা অসুস্থতায় ভোগানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তাকে উন্নত চিকিৎসার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে দেশটির সঙ্গে ১০টি চুক্তি সই হয়েছে। এ প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, সরকার ভারতের কাছে সার্বভৌমত্ব বিক্রি করে দেওয়ার চুক্তি করেছে। নিজের স্বার্থ ছাড়া ভারত এক দানা চালও দেবে না। তিনি বলেন, শহীদদের রক্ত ডিঙিয়ে কোরিডোর দিতে চায়নি বলেই খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা হয় না।
সম্প্রতি পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের দেওয়া বিবৃতি গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ মন্তব্য করে তিনি বলেন, এটি সংবাদপত্রের ওপর হুমকি। শেখ হাসিনার অবৈধ ক্ষমতাকে বৈধতা দিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তারের মহাপরিকল্পনার অংশ পুলিশ, তাই শেখ হাসিনা লুটপাটের সুযোগ দেবে না কেন!
দেশে যেই অপরাধ করুক তার বিচার হওয়া উচিত মন্তব্য করে রিজভী বলেন, সরকার পাচারকারী, ভূমিদস্যু, দুর্নীতিবাজদের পক্ষে কথা বলছে। বিভিন্ন গণ্যমান্য নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে ফেসবুকে আক্রমণ চলছে। অন্যায় অবৈধ কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখতে বিবৃতি দিয়ে প্রচ্ছন্ন হুমকি দিচ্ছে পুলিশ।
তিনি বলেন, প্রশাসন ক্যাডার এখন এমন লাভজনক হয়েছে যে ডাক্তার এবং ইঞ্জিনিয়াররাও এই প্রফেশনে চলে আসতে চায়। চাকরির নামে দোসর হয়ে হাজার কোটি টাকা লুট করে পাচার করা হচ্ছে।