বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠাতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে দলটি। দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দাবি না মানলে যেকোনো পরিস্থিতির দায় সরকারকে নিতে হবে।
রোববার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে আয়োজিত সমাবেশ থেকে এ আল্টিমেটাম দেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা।
ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ। চিকিৎসকরা বলছেন অবিলম্বে বিদেশে না নেয়া গেলে তার জীবন রক্ষা দুরুহ হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, অতীতে আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ১৭৩ দিন হরতাল করেছে। তখন খালেদা জিয়া মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাবি মেনে নিয়েছিলেন। পরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে পরাজয়ের ভয়ে তা বাতিল করেছে।
তার দাবি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ছিল বাংলাদেশের রাজনীতির সংস্কৃতিতে সবচেয়ে উপযোগী ব্যবস্থা। এটি বাতিলের পর রাজনৈতিক সংঘাতের সৃষ্টি হয়েছে।
দেশের মানুষ আজ আওয়ামী লীগের অধীনে নয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়।
তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচন চায়, তবে তা অবশ্যই হতে হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হতে হবে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষণা করা ভিসানীতি নিয়ে ফখরুল বলেন, সরকারের গায়ে আগুন লেগেছে। তারা ভেবেছিল আমেরিকা গিয়ে বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করে সব ঠিক করবেন। কিন্তু তা পারেনি।
আমেরিকাতে থাকা অবস্থায় ভিসানীতির ঘোষণা সরকারের ওপর চপেটাঘাত মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, ভিসানীতি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের জন্য অসম্মানজনক, যা ঘটেছে আওয়ামী লীগ সরকারের কারণে।
তিনি বলেন, শুধু মার্কিন নয়, দেশের মানুষ ক্ষমতাসীনদের নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে। অবিলম্বে পদত্যাগ করে রাজনৈতিক সঙ্কটের সমাধান করুন।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আব্দুস সালাম প্রমুখ।