বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নির্বাচন করার কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ল’রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত মিট দ্যা রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে পারবেন না। তিনি সুস্থ হলে আইনত তার সাজার বাকি অংশ কার্যকর করাই সরকারের প্রধান কাজ।
এমনকি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রকাশ্যে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ দিলে জামিন বাতিল হয়ে যাবে বলেও জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী।
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসা এদেশেই সম্ভব। তিনি যেসব শর্তে মুক্তি পেয়েছেন, তাতে তার বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তিনি যে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন সেটাও তো সরকারের দেওয়া শর্তের বাইরে। তার বিষয়ে অন্য কোনো চিন্তাভাবনা আপাতত সরকারের নেই।
জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার বিষয় নিয়ে করা প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধী হিসেবে বিচার শুরুর জন্য যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ আছে। আইন সংশোধনের প্রক্রিয়া চলছে। শিগগিরই তা মন্ত্রীসভায় উঠবে।
জামায়াতের সমাবেশ করা নিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, সমাবেশের অনুমতি দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কেন তারা অনুমতি দিলো- সেটার উত্তর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দিবে।
এসময় আইনমন্ত্রী জানান, সংসদে প্রতিনিধিত্ব আছে এমন রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে নির্বাচনকালীন ছোট সরকার গঠন করা হবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে তিনি বলেন, সর্বোচ্চ আদালত অসাংবিধানিক ও অবৈধ ঘোষণা করায় সংবিধান থেকে কেয়ারটেকার সরকার বাতিল হয়ে যায়।
মার্কিন ভিসা নীতি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে আনিসুল হক বলেন, মার্কিন ভিসা নীতির কারণে অপমানিত হয়েছে বাংলাদেশ। সুষ্ঠুভাবে প্রয়োগ করলে আপত্তি নাই। কিন্তু শুধু একটা দলের জন্য ব্যবহার করলে আপত্তি আছে।