প্রতিপক্ষকে মোকাবিলায় রাজপথসহ পাড়া-মহল্লায় নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকতে বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে খেলা হবে, ভোট চুরির বিরুদ্ধে খেলা হবে। রাজপথ, জনপদ, শহর, গ্রাম, পাড়া-মহল্লা সবখানেই সতর্কতার সঙ্গে প্রস্তুত থাকতে হবে। হামলা হলে পাল্টা হামলা হবে কি না সময়ই বলে দেবে।
আক্রমণ হলে পাল্টা আক্রমণ হবে কি না তা সময় বলে দেবে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজপথ আমাদের, আমরা রাজপথ থেকে ক্ষমতায় এসেছি, আকাশ থেকে পড়িনি। আমরা মাটি খুঁড়ে উঠে এসেছি? আমরা জনগণের মাঝ থেকে এসেছি। কাজেই আমাদের ভয় দেখাবেন না।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, খেলা হবে, অনেক খেলা। দেখা যাবে কত ধানে কত চাল; অপেক্ষা করুন। ডিসেম্বর মাস বিজয়ের মাস, স্বাধীনতার মাস, মুক্তিযুদ্ধের মাস, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযোদ্ধাদের মাস, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বিজয়ের মাস। ফখরুল সাহেব, রাস্তা দখল করবেন? রাজশাহীতে দেখলাম। এখন আবার ঢাকায়। কবে? ১০ তারিখ। তার আগেই নয়াপল্টন এলাকায় তাঁবু গাড়ছেন। হাঁড়ি-পাতিল, বিছানা-কম্বল নিয়ে আসছেন।
ঢাকা সিটি বিএনপির দখলে থাকবে- মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন হুংকারের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, এই তারেক রহমান গতকালও ঢাকায় এক ক্যাডারের সাথে কথা বলেছে। সেই কথোপকথন হয়তো আপনারা শুনেছেন। সেখানে বলা হয়েছে- ‘তোমরা রাস্তা ছাড়বে না। হাসিনা পালাবার পথ খুঁজছে। হাসিনার মন্ত্রীরা পালাবার পথ খুঁজছে। তোমরা রাস্তা ছাড়বে না।’
ড. কামাল হোসেনকে বাংলাদেশের রাজনীতির রহস্য পুরুষ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, কামাল সাহেব বলেন অর্থ পাচারের কথা। কিন্তু তারেক রহমানের অর্থ পাচারের দায়ে যে দণ্ডিত সেই কথা বলেন না। ইহুদি জামাতার মাধ্যমে অর্থ পাচার করেন ড. কামাল হোসেন। বাংলাদেশের রাজনীতির রহস্য পুরুষ তিনি। তারেক রহমানের পাচার করা টাকা সুইচ ব্যাংকে যারা রেখেছেন তারা যে দলেরই হোক শাস্তি পেতে হবে। সবার অর্থের উৎস খোঁজা হচ্ছে। শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে এই বার্তা দিয়ে গেলাম।
মহাসমাবেশ কাকে বলে চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ বুঝিয়ে দেবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ হচ্ছে, অথচ জনসমাগম নেই। সমাবেশস্থল ফাঁকা। আর ময়মনসিংহে একটি মাত্র জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন। এখানে জনতার ঢল। তিল ধারণের ঠাঁয় নেই। লাখো মানুষের ঢল নেমেছে ময়মনসিংহ এই সম্মেলনে।
তিনি বলেন, বিএনপির কুমিল্লার সমাবেশ থেকে ৭১টি মোবাইল চুরি হয়েছে। এর জন্য ৭১টি মামলা করেছে বিএনপির বিরুদ্ধে বিএনপি। চুরি করলো কারা বিএনপি। এভাবেই তারা ভোট চুরি করে। জনগণের অর্থ চুরি করে, লুটতরাজ করে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ও সজিব ওয়াজেদ জয়ের সহযোগিতায় ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছে। তবে এবার আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। ইতিমধ্যে আমাদের নেত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য কাজ করতে বলেছেন। আসছে নির্বাচনে এটা হবে আমাদের প্রধান স্লোগান।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকার সভাপতিত্বে এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্তর সঞ্চালনায় সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, সদস্য মারুফা আক্তার পপি, রেমন্ড আরেং, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, অ্যাডভোকেট মোসলেম উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন আহমেদ, ফাহমি গোলন্দাজ বাবেল, জুয়েল আরেং,, কাজিম উদ্দিন আহমেদ ধনু, মনিরা সুলতানা মনি, সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটুসহ প্রমুখ।