কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য আহ্বায়কের প্রতি অনাস্থা প্রস্তাব সমর্থন করায় ড. রেজা কিবরিয়াকে গণঅধিকার পরিষদ থেকে অপসারণের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
শনিবার দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও দপ্তর সমন্বয়ক শাকিল উজ্জামান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এদিন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিশেষ জরুরি সভা থেকে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সম্মতির ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঈদের ছুটিতে যানবাহন সংকট ও প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে অন্য সদস্যরা উপস্থিত হলেও সভা ডেকে আহ্বায়ক নিজেই অনুপস্থিত থাকেন। এ অবস্থায় সভায় উপস্থিত সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রাশেদ খানকে সভার সভাপতি হিসাবে নির্বাচন করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, আহ্বায়ককে অপসারণ ও চলমান সংকট নিরসনে জরুরি পরিস্থিতি বিবেচনায় ১০ জুলাই দলের উচ্চতর পরিষদ ও জাতীয় কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া কাউন্সিলের আগ পর্যন্ত ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খানকে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এদিকে রাশেদ-নূরদের সভাকে কোরামবিহীন উল্লেখ করে তা অবৈধ বলে দাবি করেছেন ড. রেজা কিবরিয়া। গণঅধিকার পরিষদের সহ-দপ্তর সমন্বয়ক ও কেন্দ্রীয় সদস্য শাহাবুদ্দিন শুভ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়ার আহ্বানে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সভা হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু তার বাবা সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়ার মতো জীবননাশের হুমকি পেয়ে তিনি লাইভে এসে বক্তব্য দিয়ে পথিমধ্যে ফিরে যান। পরবর্তী সময়ে বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খানের সভাপতিত্বে একটি কোরামবিহীন সভা অনুষ্ঠিত হয়, যা অবৈধ।
সভায় ৪২ জন উপস্থিত ছিলেন এবং অনেকে রেজুলেশনে স্বাক্ষর করেননি। তারপরও ৮৬ জন উপস্থিত দেখিয়ে যে প্রেস রিলিজ দেওয়া হয়েছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। সভা চলাকালীন নুরুল হক নূর ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করার নামে বহিরাগত লোকজন জড়ো করে একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতির তৈরির পূর্বপরিকল্পনা ছিল।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গঠিত তদন্ত কমিটির চলমান প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার হীনউদ্দেশ্যে নুরুল হক নূর খুবই তৎপর। তদন্ত কমিটি দেশবাসীর সামনে সত্য উপস্থাপন করবেন বলে আমরা প্রত্যাশা করি।
সম্প্রতি দলের আর্থিক অস্বচ্ছতাসহ নানা ইস্যুতে রেজা কিবরিয়ার সঙ্গে নুরুল হক নূরের মতপার্থক্য তৈরি হয়।