তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, অব্যাহতভাবে নির্বাচন বর্জন ও প্রতিরোধের সংস্কৃতি লালন করলে গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়ে। তিনি বলেন, ‘দেশে গণতান্ত্রিক সরকার রাষ্ট্র চালাচ্ছে। গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করা কিংবা গণতন্ত্রকে সংহত করা কোনও একক রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব নয়। সব রাজনৈতিক দলের সম্মিলিত দায়িত্ব হচ্ছে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখা।’
বুধবার (১০ আগস্ট) সকালে রাজধানীর হোটেল লেক শোরে ইউএসএইড এবং বেসরকারি আন্তর্জাতিক সংস্থা ডেমোক্র্যাসি ইন্টারন্যাশনাল-ডিআই আয়োজিত রাজনৈতিক ই-প্রশিক্ষণ প্ল্যাটফর্ম পলিটিক্সম্যাটারস ডটকম ডট বিডি’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
ডেমোক্র্যাসি ইন্টারন্যাশনালের চিফ অব পার্টি ডানা এল. ওল্ডসের সভাপতিত্বে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের গত ৫০-৫১ বছরের ইতিহাসে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা তখনই হুমকির মুখে পড়েছে, যখন অস্ত্র উঁচিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করা হয়েছে এবং সেই ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে রাজনৈতিক দল গঠিত হয়েছে।’
দেশের কল্যাণে রাজনীতিসহ সব অঙ্গনে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশের ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, ‘সাংঘর্ষিক রাজনীতি এবং সবকিছুতে না বলার যে রাজনীতি-সংস্কৃতি আমাদের রাজনীতিতে তিক্ততা বাড়িয়েছে, এটি থেকে বেরিয়ে আসতে পারলে পরিবেশ সৌহার্দ্যপূর্ণ হবে। সুতরাং, আমি আশা করবো আগামী নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করবে এবং একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে আগামী সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।’
রাজনৈতিক প্রশিক্ষণ সম্পর্কে ড. হাছান বলেন, ‘দেশ ও সমাজের উন্নয়নে দেশাত্মবোধ, মানবিকতা এবং মমত্ববোধ জাগরণে রাজনৈতিক কর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। রাজনীতির কর্মীরা অনেকেই জানেন না যে রাজনীতি একটা ব্রত।’
এ সময় সদ্য প্রকাশিত ই-প্রশিক্ষণ প্ল্যাটফর্মের উদ্যোক্তাদের প্রশংসা করেন তিনি। উল্লেখ্য, পলিটিক্স ম্যাটারস ই-প্ল্যাটফর্ম রাজনৈতিক প্রশিক্ষণে ৮টি কোর্স চালু করেছে।