রবিবার , ৮ অক্টোবর ২০২৩ | ২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. London Mirror Specials
  2. অন্যান্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জেলার খবর
  9. ঢাকা
  10. তথ্য-প্রযুক্তি
  11. প্রবাসের কথা
  12. বরিশাল
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

গোয়েন্দাদের ‘ব্যর্থতা খুঁজছে’ ইসরাইল

প্রতিবেদক
Newsdesk
অক্টোবর ৮, ২০২৩ ১২:২৪ পূর্বাহ্ণ

এটি কীভাবে ঘটলো আমরা জানি না,’ ইসরাইলে হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর বিবিসির নিরাপত্তা বিষয়ক সংবাদদাতা ফ্রাঙ্ক গার্ডনারকে এরকমই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইসরাইলি এক শীর্ষ কর্মকর্তা।

ফ্রাঙ্ক গার্ডনার বলছেন, এটা ইসরায়েলি গোয়েন্দাদের ব্যর্থতা।

কীভাবে হামাসের এত বড় পরিকল্পিত হামলা তাদের নজর এড়িয়ে গেলো তা নিয়ে এরইমধ্যে গোয়েন্দা সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্তও শুরু করেছে ইসরাইলি সরকার ।

অতীতে বিভিন্ন সময় সুনির্দিষ্ট ড্রোন হামালা এবং মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং এর মাধ্যমে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীর নেতাদের হত্যা করেছে ইসরাইল, যা সম্ভব হয়েছিলো গোয়েন্দা তথ্যের কারণে।

শনিবার স্থানীয় সময় ভোর থেকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা থেকে একের পর এক রকেট হামলা শুরু হয় ইসরাইলে। সীমান্ত পার হয়ে ইসরাইল নিয়ন্ত্রিত ভূখণ্ডে ঢুকে পড়েন হামাস যোদ্ধারা। এমন হামলা হতে পারে, তার বিন্দুমাত্র ধারণা ছিলো না ইসরাইলি বাহিনীর।

হামাস যে এরকম একটি হামলা করতে পারে তা ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ, শিন বেত ও প্রতিরক্ষা বাহিনীর গোয়েন্দাদের কেউই জানতো না।

ইসরাইলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হামাসের এই হামলা নিয়ে গোয়েন্দা ব্যর্থতার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বড় ধরনের একটি তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে এ তদন্ত শেষ করতে কয়েক বছর পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে।

ইসরাইলের গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক মধ্যপ্রাচ্যে সবচেয়ে বড় এবং দক্ষ। তারা দেশের ভেতরে এবং বাইরে কাজ করে। আর এর পেছনে প্রচুর অর্থও ব্যয় করে দেশটি। ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গ্রুপগুলোর ভেতরেই ইসরাইলি গোয়েন্দারা রয়েছে। এছাড়া অন্য সশস্ত্র গ্রুপগুলোর মধ্যে মিশে গিয়েও কাজ করে তারা। পাশাপাশি লেবানন, সিরিয়াসহ অন্যান্য জায়গায়ও তাদের তথ্যদাতা ও এজেন্ট রয়েছে। অতীতে ইসরাইলি গোয়েন্দারা ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীর নেতাদের সব ধরনের গতিবিধি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ এবং তাদের অনেককে হত্যাও করেছে।

যুদ্ধক্ষেত্রে গাজা ও ইসরাইলের উত্তেজনাপূর্ণ সীমান্ত বেড়া বরাবর ক্যামেরা, মোশন সেন্সর স্থাপন করেছে ইসরাইলি বাহিনী। সীমান্ত এলাকায় ইসরাইলের নিয়মিত সেনা টহল রয়েছে। এই হামলার সময় যে ধরনের অনুপ্রবেশ ঘটেছে তা ঠেকাতে কাঁটাতারের বেড়ায় ‘স্মার্ট প্রতিবন্ধকতাও’ বসানো ছিলো।

এরপরও হামাসের যোদ্ধারা বুলডোজার দিয়ে সীমান্ত বেড়া গুঁড়িয়ে দিয়ে ইসরাইলের ঢুকে পড়েন।

দখলকৃত গাজা উপত্যকায় শনিবার ইসরাইলি বিমান হামলায় অন্তত ২০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ।

স্থানীয় ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা জানান, গাজায় ইসরাইলি বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত ২০০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে এক হাজার ৬০০ জন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ।

অন্যদিকে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী ও হামাসের মধ্যে সীমান্ত এলাকায় চলছে তুমুল লড়াই। সমুদ্র, স্থলপথ এবং আকাশপথ দিয়ে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা ইসরাইলে ঢুকে পড়েছে। ইসরাইল লক্ষ্য করে প্রায় ২০০০ রকেট ছুঁড়েছে হামাস।

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী দল হারাকাত আল-মুকাওয়ামা আল-ইসলামিয়ার (হামাস) নজিরবিহীন হামলায় অন্তত ১৫০ জন ইসরাইলি নিহত ও আহত হয়েছেন কমপক্ষে পাঁচ শতাধিক মানুষ।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক