ঘুস নেওয়ার ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর রংপুরের পীরগঞ্জ থানার ওসি জাকির হোসেনকে প্রত্যাহার করে (ক্লোজড) পুলিশ লাইনসে যুক্ত করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে পুলিশ সুপারের নির্দেশে তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে যুক্ত করা হয়।
বিষয়টি যুগান্তরকে নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় সার্কেল ডি কর্মকর্তা কামরুজ্জামানকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আপাতত তাকে পুলিশ লাইনসে যুক্ত করা হয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একাধিক সূত্রে জানা যায়, পীরগঞ্জ থানায় ওসি হিসেবে যোগদানের পর থেকেই জাকির হোসেন অবাধে ঘুস বাণিজ্য চালিয়ে আসছেন বলে অভিযোগ। কিছু নামধারী রাজনৈতিক নেতা ও কতিপয় সাংবাদিকদের নিয়ে তিনি গড়ে তুলেছেন দালাল সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেট নানাভাবে হয়রানি করে আসছে হাজার হাজার মানুষকে। ওই সব ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ আইনি সহায়তা নিতে থানায় এলে তারা ওসির ঘুস বাণিজ্যের শিকার হন। বাদী-বিবাদী উভয়পক্ষের কাছ থেকে ঘুস নিয়ে দ্বন্দ্ব জিইয়ে রেখে ফায়দা আদায় করেন ওসি জাকির হোসেন।
অন্যদিকে থানায় মামলা দিতে এলে বিপক্ষ প্রভাবশালীর সঙ্গে আঁতাত করে ওসি অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেন এমন অভিযোগও উঠেছে।
পীরগঞ্জের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের কমিশনও জোর করে আদায় করার অভিযোগও রয়েছে ওসি জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি এ রকম একটি কমিশন বাণিজ্যের টাকা গ্রহণের ভিডিও ক্লিপ ফাঁস হয়েছে। টাকা দেওয়ার সময় কেউ একজন গোপনে তা ভিডিও ধারণ করেন।
এ বিষয়ে ওসি জাকির হোসেন যুগান্তরকে জানান, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট ও ষড়যন্ত্রমূলক। কেউ একজন তাকে ঘুস প্রদানের প্রস্তাব করলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করায় তাকে ফাঁসাতে ভিডিও ক্লিপ প্রচার করছে।












The Custom Facebook Feed plugin