প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিদর্শনে যাবেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সোমবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে আসলেই ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন যাবেন প্রধানমন্ত্রী। এখন তিনি সার্বক্ষণিক রিমালের পরিস্থিতি তদারকি করছেন।
রোববার সন্ধ্যায় ১২০ কিলোমিটার বেগে সুন্দরবন দিয়ে উপকূলে আঘাত হানে রিমাল। জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয় সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলাসহ কয়েকটি জেলার বিভিন্ন এলাকা।
ঝড়ের প্রভাবে বাড়িঘর, গবাদিপশু, মাঠের ফসল, ক্ষেতের ফল ও সবজি এবং প্রচুর গাছপালার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মৃত্যুর খবর এসেছে কয়েকজনের।
নিহতদের প্রতি শোক ও পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন পর্যন্ত সরকার ছয়জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য জনপ্রতিনিধিসহ আওয়ামী লীগের কর্মীদেরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
বলেন, বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধ ও ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট পুনঃস্থাপনে দ্রুততার সাথে সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত ছাত্রলীগের কর্মীদের মাঠে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তবে এই দুর্যোগের মধ্যেও রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি মানুষের পাশে দাঁড়াতে ব্যর্থ হয়েছে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি বারবার ব্যর্থ হয়েছে। যেকোনো দুর্যোগে সাহায্যের নামে তারা ফটো সেশন করে।
‘বিএনপি দুর্যোগে কখনো মানুষের পাশে দাঁড়ায় না। তারা কখনই মানবিক বিষয়গুলো দেখে না,’ যোগ করেন কাদের।
এদিকে প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমাল দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আরও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমশ বৃষ্টিপাত ঝড়িয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হচ্ছে।
এ অবস্থায় সমুদ্রবন্দরগুলোতে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।