মঙ্গলবার , ২২ নভেম্বর ২০২২ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. London Mirror Specials
  2. অন্যান্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জেলার খবর
  9. ঢাকা
  10. তথ্য-প্রযুক্তি
  11. প্রবাসের কথা
  12. বরিশাল
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

ঘোষণা আসবে ১০ ডিসেম্বর: মির্জা ফখরুল

প্রতিবেদক
Newsdesk
নভেম্বর ২২, ২০২২ ২:৪৬ অপরাহ্ণ

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আওয়ামী লীগের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আগামী ১০ ডিসেম্বর নাকি সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না। দেশটা কি কারো বাপের রাজত্ব নাকি। ১০ তারিখে এখানেই (নয়াপল্টনে) সমাবেশ হবে। এটা জনগণের ঘোষণা।’

‘খুব পরিষ্কার করে বলেছি, আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করব। আমাদের দাবিও পরিষ্কার। বলেছি জ্বালানি ও দ্রব্যমূল্যের দাম কমাতে হবে। তবে এখনো তো আসল ঘোষণা দেইনি। আসল ঘোষণা আসবে ১০ ডিসেম্বর। সেদিন থেকে শুরু হবে এক দফার আন্দোলন।’

মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

‘ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশের গুলিতে ছাত্রদল নেতা নয়ন নিহতের প্রতিবাদে’ সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর (উত্তর ও দক্ষিণ) বিএনপি।

সরকারের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কোনো কম্প্রোমাইজ নেই। যেতেই হবে। তাই শান্তিপূর্ণভাবে চলে যান।’

আওয়ামী লীগের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমাদের দাবি পরিষ্কার। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে, শাওন, নুরে আলম, আব্দুর রহিমের হত্যার প্রতিবাদে, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে, দেশের ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে চলমান সমাবেশ। এখানে কোনো প্রকার ছাড় নেই।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আমাদের জীবন নিয়ে খেলছে। আমাদের সাতজনকে হত্যা করেছে। আজকে আন্দোলনে ফেটে পড়তে হবে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে। জেগে ওঠতে হবে। এমনি এমনি কেউ সরে না, সরাতে হবে। মানুষের বল দিয়ে, শক্তি দিয়ে, এদের চলে যেতে বাধ্য করতে হবে।’

আওয়ামী লীগের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমরা সাতটি সমাবেশ করেছি; প্রতিটি সমাবেশে বাধা দিয়েছে। এরা কত বড় ভীরু, কাপুরুষ। গাড়ি বন্ধ করে দেয়, লঞ্চ বন্ধ করে দেয়, লেগুনা বন্ধ করে দেয় তাতে কি সমাবেশ বন্ধ করতে পেরেছে? তিন ঘণ্টার সমাবেশকে তোমরা তিন দিন বানিয়েছ।’

ফখরুল বলেন, ‘আমরা কোনো নিষেধাজ্ঞা চাই না, এটা দেশের জন্য লজ্জাকর। কিন্তু এই লজ্জার জন্য দায়ী কে শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সরকার। আমরা চাই না কোনো বাহিনী আবার সেই নিষেধাজ্ঞায় পড়ুক। পরিষ্কার করে বলতে চাই, জনগণের প্রতিপক্ষ কেউ হবেন না। জনগণকে কখনই ছোট করে দেখবেন না। জনগণ এই দেশের মালিক। শেখ হাসিনা নয়, আওয়ামী লীগও নয়।’

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম। সঞ্চালনায় ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু এবং উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক।

এ সময় আরও বক্তব্য দেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, বিএনপি নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, মীর সারাফত আলী সপু, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, কৃষিবিদ শামিমুর রহমান শামীম, যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, হেলেন জেরিন খান, ছাত্রদলের কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক

আপনার জন্য নির্বাচিত